লিগ জয়ের একদমই কাছে চলে এসেছে মোহনবাগান। বাকি ৭ ম্যাচে আর ১০ পয়েন্ট পেলেই আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হতে পারে সবুজ-মেরুন শিবির। এহেন পরিস্থিতিতে আজ মণিপুরের ট্রাউ এফসির বিরুদ্ধে নামছে কিবু ভিকুনার দল। দল যেই পজিশনেই থাকুক না কেন, কিবু অবশ্য তা নিয়ে কখনওই মাথা ঘামান না। চিন্তিত হলেও তা প্রকাশ্যে আনতে চান না। ট্রাউয়ের বিরুদ্ধে আজ, রবিবার বিকেলে খেলতে নামার আগের দিনও নিজের দর্শনে অটল থেকেছেন স্প্যানিশ কোচ। বলেছেন, ‘পরে কার সঙ্গে কোথায় খেলতে হবে, কবে চ্যাম্পিয়ন হবে, এসব নিয়ে মাথা ঘামাতে চাই না। লক্ষ্যের দিকে আরও এগোতে গেলে ট্রাউ ম্যাচটা জিততে হবে।’
কলকাতা থেকে গতকাল ইম্ফল পৌঁছে বিকেলেই মূল স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেন ফ্রান গঞ্জালেস, পাপা বাবাকর দিওয়ারারা। ড্যানিয়েল সাইরাস এবং আশুতোষ মেহতা যথাক্রমে চোট এবং কার্ড সমস্যায় যেতে পারেননি। এদিনের অনুশীলনে আশুতোষের জায়গায় লালরাম চুলোভাকে খেলিয়েছেন কিবু। ড্যানিয়েলের জায়গায় খেলেন ফ্রান গঞ্জালেস। অর্থাৎ স্টপারে খেলবেন ফ্রান মোরান্তে এবং ফ্রান গঞ্জালেস। লেফট ব্যাকে খেলানো হতে পারে ধনচন্দ্র সিংহকে। মাঝমাঠে শেখ সাহিল, জোসেবা বেইতিয়া, নংদাম্বা নওরেমের সঙ্গে কোমরন তুরসোনভ।
টানা এগারো ম্যাচ অপরাজিত রয়েছে মোহনবাগান। দ্বিতীয় স্থানে থাকা পাঞ্জাব এফসি-র সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধান ১০ পয়েন্টের। এখনও পর্যন্ত আই লিগের সব চেয়ে বেশি গোল (৩০) করেছেন মোহনবাগানই। এই আবহেও কিবুর রণনীতির কোনও পরিবর্তন হয়নি। দলের মধ্যে যাতে আত্মতুষ্টি না আসে, তার জন্য বলে দিয়েছেন, ‘যে ট্রাউকে আমরা কল্যাণীতে দেখেছিলাম, সেই দলে অনেক বদল ঘটে গিয়েছে। কোচ তো বদলেছে, সঙ্গে ছয়-সাত জন নতুন ফুটবলার ঢুকেছে দলে। দুই নাইজিরীয় স্ট্রাইকার জোয়েল সানডে এবং জোসেফ ওলেলে খুব ভাল ফর্মে আছে। মাঝমাঠে জেরার্ড উইলিয়ামস আছে। রক্ষণে ওগো উচে আছে। প্রচণ্ড কঠিন হবে ম্যাচ জেতা।’ তবে এই ম্যাচ জিতে ট্রফি জয়ের আরও কাছে যেতে মরিয়া কিবু, তা পরিষ্কার।