জাতপাতের বিভেদের জেরে দিল্লীর আবহাওয়ার অসহিষ্ণুতা সংক্রমিত হচ্ছে এই নিয়েই উত্তাল সারা দেশ। শনিবার শান্তিনিকেতনে প্রতীচী ট্রাস্ট আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিল্লী হিংসার ঘটনায় পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অমর্ত্য সেন। পুলিশের দক্ষতার অভাবে এমন ঘটনা ঘটেছে নাকি হিংসা বন্ধে সরকারি নিষ্ক্রিয়তার অংশ হিসেবে পুলিশ তৎপর হয়নি, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
‘দিল্লী দেশের রাজধানী এবং এটি কেন্দ্র শাসিত। সেখানে যা ঘটেছে তাতে আমি চূড়ান্ত উদ্বিগ্ন। সেখানে সংখ্যালঘুরা যদি নির্যাতিত হয় এবং পুলিশ তাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয় বা পুলিশ তার দায়িত্ব না পালন করে, তবে সেটা সত্যিই গভীর উদ্বেগের বিষয়। ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। এখানে হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি করা যাবে না। একজন ভারতীয় নাগরিক হিসেবে গোটা ঘটনায় উদ্বিগ্ন হওয়া ছাড়া আমার আর কিছু করার নেই।’
দিল্লী হিংসায় কেন্দ্র, দিল্লীর সরকার এবং ভর্ৎসনা করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিচারপতি এস মুরলীধরকে দিল্লি হাইকোর্ট থেকে পঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাইকোর্টে বদলির নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক। এই নিয়ে নানা প্রশ্ন জাগলেও বিষয়টি ভালো করে না খতিয়ে দেখে কোনও সিদ্ধান্ত যেতে নারাজ নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। তিনি বলেন, ‘যে বিচারপতিকে বদলি করা হয়েছে তাঁকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। কী কারণে তাঁকে বদলি করা হল তা নিয়ে স্বভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠতেই পারে। কিন্তু এই সম্পর্কে আমি কোনও মন্তব্য করব না।’ দিল্লীর সাম্প্রতিক হিংসার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করলেন অমর্ত্য সেন। এরই সাথে তিনি আরো একবার মনে করিয়ে দিলেন, ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ এবং ধর্মের ভিত্তিতে এই দেশের মানুষকে ভাগ করা যাবে না।