আগামী ১৩ এপ্রিল দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি.এন.প্যাটেল ও বিচারপতি হরি শঙ্করের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার পরবর্তী শুনানি বলে জানা গিয়েছে। স্বরা ভাস্করদের বিরুদ্ধে এই এফআইআর-এর দাবি তুলে গতকালই আদালতের দ্বারস্থ হন আইনজীবী সঞ্জীব কুমার। তিনি আদালতকে জানিয়েছেন, ”এই নক্সালদের দলটি দেশের সংস্কৃতি নষ্ট করছে। দেশকে পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে, গোটা বিশ্বের কাছে ভারতের বদনাম করছেন তারা।
কখনও অর্থনৈতিক মন্দা দেখিয়ে আবার কখনও বিদ্বেষমূলক কথা বলে দেশকে পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।” ওই আইনজীবী আরও জানিয়েছেন, ”দিল্লিতে রাস্তা বন্ধ করে, সাধারণ মানুষকে উস্কে দিয়ে আন্দোলনের নামে যে হিংসা ছড়ানোর প্রচেষ্টা করেছিলেন সেটা সফল হয়নি। সাধারণ মানুষ ওই নক্সালদের গেরিলা কৌশল মেনে নেয়নি।” এর আগে দিল্লির সংঘর্ষ নিয়ে দিল্লি পুলিশকে তীব্র ভৎর্সনা করেন আদালতের দুই বিচারপতি।
বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ছড়ানোর অভিযোগে স্বরা ভাস্কর, হর্ষ মন্দার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার জন্য গতকাল দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন এক আইনজীবী। সেই আবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্ট দিল্লি পুলিশ, দিল্লি সরকার ও এনআইএকে নোটিশ দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, দিল্লি হাইকোর্ট এই বিষয়ে দিল্লি পুলিশ, এনআইএ ও দিল্লি সরকারকে ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। আগামী ১৩ এপ্রিল এই ঘটনার পরবর্তী শুনানি হবে বলেও জানিয়েছে আদালত। শুধুমাত্র স্বরা ভাস্কর ও হর্ষ মন্দারের নামে নয় এফআইআর-এর তালিকায় নাম রয়েছে আপ বিধায়ক অমনাতুল্লা খান, আরজে সায়েমার।
দিল্লিতে ভয়াবহ হিংসার পর দিল্লি পুলিশকে তুলোধনা করার পাশাপাশি নির্বাচনের সময়ে উস্কানি মূলক মন্তব্যকারী সমস্ত নেতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি এস মুরলীধর। সেই তালিকায় নাম ছিল অনুরাগ ঠাকুর, প্রবেশ ভর্মা, কপিল মিশ্রদের। অভিযোগ ওঠে তাঁদের মন্তব্যের জেরেই দিল্লিতে এই সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়েছে।
এইঘটনার শুনানিতে কিছুদিন আগেই অভিযুক্তদের মন্তব্যের ভিডিও আদালতের এজলাসে দেখেন বিচারপতি এবং স্পষ্টভাবে দিল্লি পুলিশকে জানিয়ে দেন ওই রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে যেন অবিলম্বে এফআইআর দায়ের করা হয়। কিন্তু বিচারপতি মুরলীধরের এই নির্দেশের পরেই রাতারাতি দিল্লি হাইকোর্ট থেকে পঞ্জাব-হরিয়ানা আদালতে বদলি করা হয়। আর গত কিছুদিন আগেই কেন্দ্র আদালতকে জানিয়ে দেয় অনুরাগ ঠাকুর, প্রবেশ ভর্মা, কপিল মিশ্রদের বিরুদ্ধে এখনই এফআইআর দায়ের করার কোনও প্রয়োজন নেই।