পেরিয়ে গিয়েছে ৫ দিন। এখনও ধিকিধিকি জ্বলছে হিংসার আগুন। যদিও গত কয়েকদিন ধরে পেট্রোল-বোমা-অ্যাসিড ছুঁড়ে, গাড়ি জ্বালিয়ে যে তাণ্ডব চলছিল রাজধানীর রাস্তায়, এখন তা থেমেছে। তবে দিল্লীর হিংসার বলি গিয়ে ঠেকেছে ৪৩-এ। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে ধরপাকড়। যদিও হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে এখন পর্যন্ত কোনও বিজেপির নেতাদের গ্রেফতার করেনি দিল্লী পুলিশ। উল্টে বিরোধী শিবিরের নেতাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে জোরকদমে। হিংসায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে এবার গ্রেফতার করা হল কংগ্রেসের প্রাক্তন পুরপ্রতিনিধি ইশরত জাঁহাকে। দিল্লীতে লাগাতার ৪-৫ ধরে যে দাঙ্গা হয়েছে, তাতে ইশরতের পরোক্ষ মদত রয়েছে বলে দাবি।
সূত্রের খবর, ইশরত জাঁহা গত ৫০ দিন ধরে দিল্লীর খুরেজি এলাকায় সিএএ বিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। গত রবিবার খুরেজি রোড জ্যাম করে দেওয়ার পিছনেও ইশরতের ভূমিকা ছিল বলে জানা গিয়েছে। গ্রেফতারের পর তাঁকে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় আদালতে রাখা হয়েছে। এছাড়া পুলিশ এখনও পর্যন্ত ১২৩টি এফআইআর দায়ের করেছে। ৬৩০ জনকে আটক করা হয়েছে। দিল্লীর ঘটনা নিয়ে তদন্তের জন্য দু’টি পৃথক সিটও গঠন করা হয়েছে। তবে গোটা ঘটনায় পুলিশি গাফিলতির অভিযোগ স্পষ্ট। জানা গিয়েছে, পুলিশের কাছে সাহায্যের জন্য কয়েক হাজার ফোন এলেও তাতে তারা সাড়া দেয়নি। যা থেকে স্পষ্ট, দিল্লীতে যখন তাণ্ডব চলছিল, তখন পুলিশ নিজের দায়িত্ব পালন করেনি। তবে এখন তারা বিরোধী নেতা-নেত্রীদের পাকড়াও করতে ‘অতিসক্রিয়’ হয়ে উঠেছে।