পুলওয়ামা হামলার মুখ্য অপরাধীকে গ্রেফতার করল রাষ্ট্রীয় অনুসন্ধান সংস্থা। পুলওয়ামা আত্মঘাতী জঙ্গি বিস্ফোরণে সক্রিয় ভাবে জড়িত থাকার অভিযোগে জইশ-ই-মহম্মদের সদস্য শাকির বসির মাজরেকে শুক্রবার গ্রেফতার করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। বিস্ফোরক তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম অনলাইনে অর্ডার দিয়ে আনানো ও নিরাপত্তা রক্ষীদের কনভয়ে সে নজরদারি চালাত বলে অভিযোগ। জেরায় ধৃত জইশ জঙ্গি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ স্বীকার করেছে বলে দাবি এনআইএ-এর।
বথর র ২২-র শাকির বসির মাজরে দীর্ঘদিন ধরেই পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশের সঙ্গে যুক্ত বলে জানিয়েছে এনআইএ। এই হামলায় বাকি অভিযুক্তরা সকলেই আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় বা এনকাউন্টারে মৃত বলে জানা গিয়েছে। এনআইএ-এর দাবি বিস্ফোরক বোঝাই গাড়িটি হামলার জায়গা থেকে ৫০০ মিটার দূর পর্যন্ত চালিয়ে এসেছিল এই জঙ্গি। পরে তা আত্মঘাতী হামলাকারী আদিল আহমেদ দারকে দিয়ে দেওয়া হয়। শুক্রবার ধৃত জঙ্গি শাকির বসির মাজরেকে জম্মুর আদালতে পেশ করা হলে তাকে ১৫ দিনের এনআইএ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, লাথেপোড়া সেতুর কাছে শাকিরের আসবাবের দোকান রয়েছে। যেখানে বসে এই হামলার ছক কষা হয়েছিল। দিনের পর দিন সেই দোকানে বসে সিআরপিএফ জওয়ানদের গতিবিধির উপর নজর রাখত শাকির বসির। ২০১৮ সালের শেষ থেকেই শাকিরের বাড়িতে ঘাঁটি গেড়েছিল জইশের বাকি দুই জঙ্গি। হামলায় ব্যবহৃত আইইডি বিস্ফোরণ বানাতে জইশের দুই জঙ্গি আদিল আহমেদ দার এবং মহম্মদ উমর ফারুখকে সাহায্য করেছিল এই শাকির বসির। শুধু তাই নয়, বিস্ফোরক তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম অনলাইনে অর্ডার দিয়ে আনানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: কেন কাশ্মীরে ফের এত সক্রিয় জইশ-এ-মহম্মদ?
২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা। জম্মু-শ্রীনগর হাইওয়েতে সিআরপিএফ কনভয়েতে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা হয়। এই হামলায় নিহত হয়েছিলেন ৪০জন সিআরপিএফ জওয়ান। তদন্তে উঠে আসে বিস্ফোরণে ব্যবহার হয়েছিল প্রায় ১০০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক।