২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে প্রভিডেন্ট ফান্ডে ৮.৬৫ শতাংশ হারে সুদ পেয়েছেন চাকরিজীবীরা। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে সুদের হার এখনও ঘোষণা করা না হলেও শোনা যাচ্ছিল ওই সুদের হার কমিয়ে ৮.৪০ শতাংশ থেকে ৮.৫০ শতাংশ করা হতে পারে বলে। এবার জানা গেল, চলতি অর্থবর্ষে কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডে গচ্ছিত আমানতের ওপর সুদের হার কমিয়ে ৮.৫ শতাংশ হারে সুদ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (ইপিএফও)। অর্থাৎ চলতি অর্থবর্ষে সেই সুদের হার ০.১৫ শতাংশ কমানোর ভাবনা রয়েছে। যার ফলে আমানতের ওপর আয় কমবে কর্মীদের।
ইপিএফওর এক আধিকারিক জানান, ‘চলতি অর্থবর্ষে আমানতে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখা কঠিন হবে সংস্থাটির পক্ষে।’ গত এক বছরে দীর্ঘমেয়াদি আমানত, ঋণপত্র এবং সরকারি শেয়ারে ইপিএফওর গচ্ছিত আমানতের উপর রিটার্নের পরিমাণ ০.৫০ শতাংশ থেকে ০.৮০ শতাংশ হারে কমেছে। প্রভিডেন্ট ফান্ড সংস্থাটির ঠিক কত টাকা আয় হয়েছে তার উপর ভিত্তি করে কর্মীদের আমানতের উপর কী হারে সুদ দেওয়া হবে তা নির্ধারণ করবে দ্য ফিনান্স অ্যান্ড অডিট কমিটি। সিবিটির বৈঠকের ঠিক আগেই তা স্থির করা হবে।
আগামী ৫ মার্চ ইপিএফও-র কেন্দ্রীয় অছি পরিষদের (সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ট্রাস্টিজ) বৈঠকে বিষয়টি তোলা হবে বলে সূত্রের খবর। এবং তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ইপিএফওর মোট আমানতের পরিমাণ ১৮ লক্ষ কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে ৪,৫০০ কোটি টাকা দিওয়ান হাউজিং ফিনান্স কর্পোরেশন এবং ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিজিং অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেসে রয়েছে। এই দুই সংস্থাই গচ্ছিত আমানতের ওপর সুদ দিতে পারেনি। এমনকী গচ্ছিত অর্থ পাওয়ার ক্ষেত্রেও সময় লাগবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশিকা মেনে প্রথম সংস্থাটির বিরুদ্ধে দেউলিয়া প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। অন্যদিকে, দ্বিতীয় সংস্থাটিকে আর্থিক দুরবস্থা থেকে বের করে আনতে কেন্দ্রের নজরদারি ব্যবস্থা শুরু হয়েছে।