অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের কৌশল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আশ্বাস বা সরকারের আর্থিক উপদেষ্টাদের পরামর্শ। কোনও কিছুতেই কোনও কাজ হচ্ছে না। দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর পরিবর্তে আরও যেন তলিয়ে যাচ্ছে। তার প্রমাণ গত বছরের তৃতীয় কোয়ার্টারের সার্বিক বৃদ্ধির হার। গত ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে দেশের গড় অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের হার বা জিডিপি ছিল ৪.৭ শতাংশ। যা গত ৭ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
শুক্রবার রাতেই দেশের বৃদ্ধির হার সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করেছে জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তর। তাঁদের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের তৃতীয় কোয়ার্টার অর্থাৎ অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ত্রৈমাসিকে দেশের সার্বিক বৃদ্ধির হার ছিল ৪.৭ শতাংশ। যা গত সাতবছরে সর্বনিম্ন। শেষবার ২০১২-১৩ অর্থবর্ষে বৃদ্ধির হার কমে হয়েছিল ৪.৩ শতাংশ। তারপর জিডিপি বৃদ্ধির হারে এই রেকর্ড পতন চোখে পড়েনি। গত বছরও এই সময়ে বৃদ্ধির হার ছিল ৫.৬ শতাংশ।
উল্লেখ্য, গত ত্রৈমাসিকে দেশের সার্বিক বৃদ্ধির হার ছিল ৫.১ শতাংশ। যদিও, পরিসংখ্যান দপ্তর প্রথমে ঘোষণা করে ওই সময়ে জিডিপি বৃদ্ধির হার ৪.৫ শতাংশ। তা নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়ে যায়। রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়ে যায়। পরে সেই সংখ্যাটি সংশোধন করে পরিসংখ্যান দপ্তর। তাঁরা জানায়, ৪.৫ নয়, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের দ্বিতীয় কোয়ার্টারে জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৫.১ শতাংশ। সেই হিসেবে দেখতে গেলে দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় কোয়ার্টারে প্রায় ০.৪ শতাংশ কমেছে বৃদ্ধির হার। যা বেশ উদ্বেগজনক।
গতবছর আর্থিক সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছিল চলতি অর্থবর্ষ অর্থাৎ ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে আর্থিক বৃদ্ধির হার হবে ৭ শতাংশ। কিন্তু, সেই নির্ধারিত লক্ষ্যের ধারেকাছে পৌঁছাতে পারেনি অর্থনীতি। উল্টে অধঃপতন হয়েছে অনেকটাই। বৃদ্ধির পরিবর্তে জিডিপি নেমে এসেছে ৪.৭ শতাংশে। যা কিনা সাম্প্রতিক অতীতে সর্বনিম্ন। এই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে সরকার যে পদক্ষেপ করছে না, তা নয়। ইতিমধ্যেই আবাসন শিল্পকে চাঙ্গা করতে স্বল্প সুদে স্থায়ী ঋণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। খরচ বাড়ানো হয়েছে পরিকাঠামো খাতে। কিন্তু, কিছুতেই যেন কাজ হচ্ছে না।