তাঁর বিজেপিতে যোগদানের সময়ই তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। রন্তিদেব সেনগুপ্ত থেকে শুরু করে গেরুয়া শিবিরের একাধিক নেতারা প্রকাশ্যে-সামাজিক মাধ্যমে আপত্তি জানিয়েছিলেন দলে ‘বেনোজল’ ঢোকানোয়। এবার ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে এফআইআর হল বিজেপি নেতা মণিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
২ লক্ষ টাকা দিলেই মিলবে প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরি। তাই লোন নিয়ে বা জমি-গয়না বিক্রি করেই টাকা জোগাড় করেছিলেন বিশ্বজিৎ মন্ডল, কাজল রায়েরা। তুলে দিয়েছিলেন মণিরুল ইসলামের হাতে। কিন্তু চাকরি হয়নি। এরপরই বিশ্বজিৎ-কাজল-সহ একদল যুবক অভিযোগ জানায় লাভপুর থানায়। আর অভিযোগ পেয়ে বিধায়ক মনিরুল ইসলাম ও তাঁর ভাইদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ।
ভারতীয় দন্ডবিধির ৪০৬, ৪২০ ধারায় অভিযুক্ত হয় বিধায়ক মনিরুল ইসলাম-সহ অন্যান্যরা। ইতিমধ্যে পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতারও করেছে। তবে গ্রেফতারের আশঙ্কায় মণিরুল ইসলাম কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন। সেই আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, ৬ সপ্তাহ মণিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা যাবে না। তবে চার সপ্তাহ পর ফের মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়েছে আদালত।