কর্নাটকের জন্য বাংলার অস্ত্র মাঠের ঘাস। এই পেস সহায়ক পিচেই কে এল রাহুলের কর্নাটককে রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালে স্বাগত জানাতে চায় বাংলা। কারণ, অভিমন্যু ঈশ্বরনের দলের শক্তি তাদের পেস ব্যাটারি। অরুণ লাল বলছিলেন, ‘‘আমরা ভাল খেলছি। বেশির ভাগ ম্যাচ জিতেছি পেস বিভাগের জন্য। সেমিফাইনালে বিপক্ষ শিবিরের কথা ভেবে দল সাজাবো না। নিজেদের শক্তির উপরেই আস্থা রাখছি।’’
সবুজ পিচ পেসারদের মুখে হাসি ফোটালেও কপালে ভাজ ফেলেছে ব্যাটসম্যানদের। এমনিতেই বাংলার উপরের সারির ব্যাটসম্যানেরা ব্যর্থ। সেমিফাইনালে তাই টস বড় ভূমিকা নেবে। বড় ভূমিকা নেবে আরও একটি বিষয়। ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম। রঞ্জি ট্রফিতে এই প্রথম ডিআরএস ব্যবহৃত হবে সেমিফাইনাল থেকে। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ডিআরএস-এর সঙ্গে অনেক তফাত। বলা যেতে পারে আংশিক ডিআরএস। না আছে স্নিকো। না আছে হটস্পট। এমনকি বল ট্র্যাকিংও আন্তর্জাতিক মানের হবে না।
ব্যাটিং সহায়ক পিচে কর্নাটককে স্বাগত জানালে কত রানে তারা থামত জানা নেই। তা অনুমান করেই সবুজ পিচ চেয়েছে বাংলা। অরুণের ব্যাখ্যা, ‘‘ব্যাটিং উইকেটে ওদের বিরুদ্ধে আমাদের জেতা কঠিন। বুঝতে হবে, আমাদের শক্তি কিন্তু ব্যাটসম্যানেরা নয়। শুরুতেই তিনটি করে উইকেট হারিয়ে ফেলছি। হাল ধরছে আমার মিডল অর্ডার। কর্নাটকের বিরুদ্ধে ব্যাটিং পিচ দেওয়া হলে আমার টপ অর্ডার যে ব্যর্থ হবে না, সেই নিশ্চয়তা কে দিতে পারে? তার চেয়ে পিচ সবুজ থাকলে, মুকেশ, ঈশানদের বিরুদ্ধে সমস্যায় পড়তে পারে কর্নাটক।’’