আজ শুক্রবার ভুবনেশ্বরে নিরাপত্তা বৈঠকে মুখোমুখি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৪ তম পূর্বাঞ্চল কাউন্সিল বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন আরও ৫টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রের সঙ্গে একাধিক বিষয়ে সংঘাত থাকলেও রাজ্যের নিরাপত্তা নিয়ে আপস করতে রাজি নন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই দিল্লী গিয়ে তিনি কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। দেখা করেন অমিত শাহের সঙ্গেও। জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কলকাতা সফরে এলে রাজভবনে গিয়েও বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী।
বাংলায় জগদীপ ধনকর রাজ্যপাল পদে আসীন হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। এরপর আজ, শুক্রবারই প্রথম প্রশাসনিক বৈঠক। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন ও উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। তবে এই বৈঠক নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে বাম নেতৃত্ব। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, জাতীয় নাগরিকপঞ্জির বিরোধিতায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিরোধীদের মুখ হয়ে ওঠেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভুবনেশ্বরের লোকসেবা ভবন চত্বরের নিউ কনভেনশন সেন্টারে শুরু হয়েছে বৈঠক। এই বৈঠকে এনআরসি, এনপিআর, সিএএ প্রসঙ্গ তুলতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যাোপাধ্যায়। তবে বৈঠকের পর রাজ্যের নানা প্রসঙ্গ নিয়ে অমিত শাহের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আলাদা করে বৈঠক করবেন কিনা তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এই বৈঠকে যোগ দেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীবা সিনহা ও রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র।
এই বৈঠকের পর রবিবার কলকাতায় আসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সিএএ-র সমর্থনে শহীদ মিনারে সভা করবেন তিনি। অমিত শাহের সভা নিয়ে প্রথমে কলকাতা পুলিশের অনুমতি পাওয়া নিয়ে জট ছিল। পরে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে সেই অনুমতি দেওয়া হয়। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে বহাল হওয়ার পর থেকে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে বারবার অ্যাডভাইজরি পাঠানো হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। তাতে বেজায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য প্রশাসনের অভিযোগ, কেন্দ্র ব্যক্তিগত সঙ্ঘাতের কথা মাথায় রেখেই এই কাজ করছে। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক।