‘দেশে এমন নেতা আছে যারা বিদ্বেষ ছড়ায়। তারা ২১-এর বিধানসভা ভোটের সময় বাংলাতে দাঙ্গা লাগাতে পারে।’ এমনই বললেন সাংসদ অভিনেতা দেব। ডেবরা গ্রামীণ মেলার উদ্বোধনে এসে তিনি বলেন, ‘জনগণ যেন বিদ্বেষের কথায় কান না দেন।’
এদিন ঘাটালে নিজের সাসংদ তহবিলে বরাদ্দ ঘাটালের দেওয়ানচক গ্রাম পঞ্চায়েতের কণকপুরে কেঠিয়া খালের উপর ৪৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি সেতুর শিলান্যাস করেন দেব। সেতুটি নির্মাণ হলে ঘাটাল ও দাসপুরের কয়েক হাজার মানুষ উপকৃত হবেন বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ। সেই সঙ্গে এও তিনি বলেন যে, ‘ঘাটালের মনশুকায় ঝুমি নদীর উপর একটি সেতুর দাবি কয়েক দশকের। ওই এলাকার মানুষের দাবি মেনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কাছে আমি নিজে চিঠি লিখে অনুরোধ করেছিলাম। সেই দাবি মেনে তিনি মনশুকায় একটি সেতু নির্মাণের ছাড়পত্র দিয়েছেন। তাঁর নির্দেশে ১২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে পুর্ত দপ্তর। সেতু নির্মাণের জন্য ডিপিআর তৈরিও হয়ে গিয়েছে। খুব শীঘ্রই এই সেতুটিরও শিলান্যাস করা হবে।’
সেতু উদ্বোধনে এসে তারকা সাংসদ তথা অভিনেতা দেব বলেন, ‘মানুষ দাঙ্গা চায় না। উন্নয়ন চায়। উন্নয়নের ভিত্তিতেই আগামি বিধানসভায় ভোট হবে। কোনও হিন্দু-মুসলমান ধর্মের ভিত্তিতে ভোট হবে না। আমি ওসব নিয়ে ভাবতেও চাই না। আমি মানুষের উন্নয়নের জন্য চেষ্টা করে যাব। মানুষের পছন্দ হলে ভোট দেবেন, পছন্দ না হলে ভোট দেবেন না।’
এছাড়া ঘাটাল শহরে শিলাবতী নদীর উপর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে আরও একটি সেতু নির্মাণের কথা ঘোষণা করেছেন দেব। তার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৬ কোটি টাকা। এদিন দাসপুরে ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে তপশিলি জাতি-উপজাতিদের শংসাপত্র বিলি করেন দেব। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দাসপুরের বিধায়ক মমতা ভুঁইয়া, মহকুমা শাসক অসীম পাল, বিডিও বিকাশ নষ্কর প্রমুখ। পরে নিজের সাংসদ কার্যালয়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে দেব বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্য বহু উন্নয়নমুলক কাজ হচ্ছে। ঘাটালের বহু দিনের দাবি ‘ঘাটাল মাষ্টার প্ল্যান’ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা চলছে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছেও ঘাটাল মাষ্টার প্ল্যানের দাবি করা হয়েছে। আমি হাল ছাড়িনি।’