তিনি যখন দিল্লীতে, তখন শহরের আরেক অংশে মোদীর সাম্প্রদায়িক নীতি নিয়ে গণবিক্ষোভ গোটা একটি এলাকার জনজীবন বিপন্ন করে তুলেছে। এর পরেও ট্রাম্প কী করে ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রশ্নে মোদীর প্রশংসা করে এলেন? দিল্লীর সাম্প্রতিক হিংসাত্মক পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নীরব থাকায় এখন এমনই প্রশ্ন তুলছে মার্কিন সংবাদপত্রগুলি। নিজের দেশেই নানা ভাবে সমালোচিত হতে হচ্ছে তাঁকে। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী বার্নি স্যান্ডার্সও বলেছেন, ট্রাম্পের ওই অবস্থান মানবাধিকারের নেতৃত্বের প্রশ্নে ব্যর্থতা। আর বার্নির ওই মন্তব্যকে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা বি এস সন্তোষ বৃহস্পতিবার সকালে টুইটারে লেখেন, আমেরিকার আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টির পক্ষেই প্রচার চালাবে বিজেপি। আর তা নিয়েই তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
এদিন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ টুইটারে লিখেছিলেন, ‘আমরা যতই নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করি, আপনারা বাধ্য করছেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভূমিকা নিতে। দুঃখের সঙ্গেই বলছি আপনারা বাধ্য করছেন।’ যদিও বিতর্কের জল বেশিদূর গড়ানোর আগেই কিছুক্ষণের মধ্যে ওই টুইটটি মুছে ফেলা হয়। আর এটা নিয়ে পাল্টা কোনও প্রতিক্রিয়াও দেয়নি বিজেপির শীর্ষ মহল। উল্লেখ্য, বুধবার বার্নি স্যান্ডার্স টুইটারে দিল্লীর সাম্প্রতিক অবস্থা নিয়ে ট্রাম্পের নিষ্ক্রিয়তার দিকে আঙুল তুলে লিখেছিলেন, দিল্লিতে মুসলিমদের উপর হামলার বিষয়টি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে এড়িয়ে গিয়ে মানবাধিকার রক্ষার বিষয়টাকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।