সাক্ষী মালিক।অলিম্পিক্সে পদকজয়ী প্রথম ভারতীয় মহিলা কুস্তিগির। তাকে হারানোর আনন্দ অন্যরকম হতেই পারত। তাও গত দুই মাসের মধ্যে দুইবার! লখনউয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ফোনে সোনম মালিকের গলা শুনে মনে হল যেন বুধবার অলিম্পিক্সের ট্রায়ালে সাক্ষী মালিকের বিরুদ্ধে নয়, হরিয়ানার মাদিনায় প্র্যাক্টিসে কোনও সতীর্থ মহিলা কুস্তুগিরকে হারিয়ে ম্যাট ছেড়েছেন!
দু’মাস আগে সাক্ষীকে হারিয়েছিলেন। কিন্তু বুধবারের লড়াইয়ে সাক্ষীর চেয়ে পিছিয়ে থাকা সত্ত্বেও শেষ হাসি হাসার রহস্য কী? সোনম বলছেন,”এর আগেই রোমে গিয়ে প্রথম রাউন্ডে হেরেছিলাম। কোচ আজমের স্যার বুঝিয়েছিলেন যে, আমার পা এবং গ্রাউন্ড ডিফেন্সে অনেকটা দুর্বলতাই রয়ে গিয়েছে। তারপর গত একমাসে অনেক সময় দিয়েছি টেকনিকের এই দুটো জিনিসের ওপর। এখনও ট্রেনিংয়ে সেই নিয়ে প্রচুর সময় দিই। বুধবারের জয়ের পর মনে হচ্ছে কিছুটা হলেও উন্নতি হয়েছে।”
২৭ থেকে ২৯ মার্চ কিরঘিজস্তানে এর পরের ট্রায়াল সোনমদের। তারপর টোকিওর আগে বুলগেরিয়ায় শেষ ট্রায়াল। দুটো পরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ হতে পারলে সোনম নিশ্চিত করবে টোকিও অলিম্পিক্সে নামার টিকিট। সেই ভাবনায়ই মশগুল হরিয়ানার মেয়ে। সোনম জানালেন, লখনউয়েই এখন চলবে জাতীয় শিবির। তার কনুইয়ে একটা চোটও ছিল। সেই নিয়েই বুধবার লড়াই করেছেন। বললেন, “জাতীয় শিবির চলাকালীনই কনুইয়ের চোটটা সারিয়ে ফেলতে হবে।”
জুনিয়র বিশ্বচ্যাম্পিয়ন সোনম মালিকের নিঃশব্দে বেড়ে ওঠা হয়তো এবার থেকে আর হবে না। পাদপ্রদীপের আলোয় উঠে এলেন ১৮ বছরের মেয়েটি। কিন্তু সোনম নিজে সেই আলো থেকে দূরেই থাকার চেষ্টা করছেন. না হলে ফোনে বলবেন কেন, “এত কিছু করে যদি টোকিও অলিম্পিক্সে যেতেই না পারি তখন এই সংবাদমাধ্যমই আমাকে ছুঁড়ে ফেলে দেবে। তাই আনন্দ করার সময় এখনও আসেনি!” দৃঢ়তা ও বিশ্বাস এর ঝলক চোখে নিয়ে স্পষ্টভাবেই নিজের ভাবপ্রকাশ করলেন অলিম্পিক্সে ভারতের আশার আলো সোনম মালিক।