লোকসভা নির্বাচনের পরে দলের মণ্ডল সভাপতি নির্বাচনকে ঘিরেই বিজেপি–র দলীয় বিশৃঙ্খলার সূত্রপাত। যা আরও প্রকট হয়ে ওঠে কাঁথি জেলা বিজেপি–র সভাপতি অনুপ চক্রবর্তীর অভিযোগের মূলে খেজুরি–২ উত্তর মণ্ডলের সহ–সভাপতি তিমির পন্ডা গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই। এই দলীয় কোন্দলকে ঘিরেই ক্ষতবিক্ষত কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সংগঠন। জেলায় বিজেপি–র সভাপতি অনুপ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ক্রমেই চড়ছে ক্ষোভের পারদ। কাঁথি সাংগঠনিক জেলার এই বিশৃঙ্খলার আগুন ছড়িয়ে পড়েছে গোটা জেলাতেই।
বুধবার জেলার কাঁথি, ভগবানপুর, পটাশপুর, এগরা, রামনগরে প্রকাশ্যে এসেছে বিক্ষুব্ধ বিজেপি–দের ক্ষোভ–বিক্ষোভের ছবি। পোস্টারও পড়েছে সর্বত্র। পোস্টারে অনুপ চক্রবর্তীকে দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যাখ্যা দিয়ে তাঁর পদত্যাগের দাবি করা হয়েছে। বিজেপি–র এই গৃহযুদ্ধে তিতিবিরক্ত দলের সাধারণ সমর্থকেরা। তাঁরা ফের তৃণমূল শিবিরে ফেরার তোড়জোড় শুরু করেছেন বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের।
অনুপের অভিযোগ ছিল, ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে খেজুরির মালদা মোড়ে তাঁর গাড়িতে হামলা চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। দুষ্কৃতীরা তৃণমূল–আশ্রিত বলে দাবি ছিল তাঁর। কিন্তু ১৩ ফেব্রুয়ারি খেজুরি থানায় তাঁর লিখিত অভিযোগে উঠে আসে বিজেপি–রই খেজুরি–২ উত্তর মণ্ডলের তিন নেতার নাম। তাঁদের মধ্যে সোমবার কাঁথিতে ধরা পড়েন তিমির পন্ডা। আর তারপর থেকেই পথে নেমেছেন অনুপ–বিরোধী দলের অন্য গোষ্ঠীর নেতা–কর্মীরা।
বুধবার ক্ষোভের আঁচ ছড়ায় পটাশপুর, ভগবানপুর, রামনগর, এগরা এলাকায়। পোস্টারও পড়ে বিভিন্ন জায়গায়। পটাশপুরের খোড়াই বাজারে পাওয়া এক পোস্টারে লেখা, অনুপ চক্রবর্তী শাসক দলের (অধিকারী বংশের থেকে) থেকে টাকা খেয়ে দলীয় কর্মীদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়েছেন। জানানো হয়েছে তাঁর অপসারণের দাবি।