উত্তর-পূর্ব দিল্লীতে যে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা নিয়ে এবার মুখ খুললেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম। সমগ্র পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার তথা বিজেপিকে দায়ী করলেন তিনি। একইসঙ্গে মন্তব্য করলেন, আজ যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার জন্য সাধারণ মানুষ সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন, তাদেরকেই সবচেয়ে বেশি মূল্য চোকাতে হচ্ছে। চিদাম্বরমের কথায়, ‘বিজেপি নেতারা অমানবিক এবং অসংবেদনশীল।’
এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা আরও বলেন, বিজেপি সরকার এবং তাদের অসংবেদনশীল মন্ত্রী-নেতাদের ক্ষমতা দিয়ে মস্ত বড় ভুল করেছেন সাধারণ মানুষ। এই কাজ করে এখন তারা সবচেয়ে বেশি মূল্য চোকাচ্ছেন। বিজেপি নেতা-মন্ত্রীদের জন্যই এখন রাজধানী দিল্লীর এমন পরিস্থিতি বলে দাবি করেন চিদম্বরম। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, এই পরিস্থিতির মধ্যে সরকারের উচিত সিএএ-কে বাতিল করে দেওয়া এবং সাধারণ মানুষ কী বলতে চাইছেন তা শোনা।সোমবার থেকেই দিল্লীর মৌজপুরের কাছে জাফরাবাদ মেট্রো স্টেশনে এই সিএএ বিরোধী আন্দোলন চলছিল। যেখানে ২০০-র বেশি আন্দোলনকারীরা বসে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন। জানা গিয়েছে, সিএএ সমর্থক ও বিরোধী দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সঙ্ঘর্ষ লেগে যাওয়ার ফলেই রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। সেই পরিস্থিতির আঁচ গিয়ে পড়েছে আজও। পাথর বৃষ্টি থেকে শুরু করে গাড়িতে আগুন, দোকান ভাঙচুর, সবই চলছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ছবি, ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান বলে, আগুন লাগানো হচ্ছে, প্রত্যেকের হাতে গেরুয়া পতাকা। প্রবল অশান্তির জেরে পরশু থেকে মেট্রো পরিষেবা বন্ধ, আজও অশান্তির আশঙ্কায় বন্ধ রয়েছে ৫টি মেট্রো পরিষেবা।
সিএএ ইস্যুতে দিল্লীর এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১০৫ জন আহত হয়েছে বলে খবর। সোশ্য়াল মিডিয়ায় অশান্তির বহু ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে দাউদাউ করে জ্বলছে দিল্লী। জাফরাবাদ-মৌজপুরে সঙ্ঘর্ষের ঘটনায় ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭। ইতিমধ্যেই দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এ বিষয়ে বৈঠক করেছেন এবং জানানো হয়েছে, দিল্লীর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কোনও রাজনীতি করা হবে না, সকলে একসঙ্গে কাজ করবেন।