সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে মঙ্গলবার সকালেও নতুন করে তেতে উঠল রাজধানী দিল্লী। এ দিন সকালে মৌজপুর এবং ব্রহ্মপুরীতে ফের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সঙ্ঘর্ষ বাধে। একে অপরকে লক্ষ্য করে শুরু হয় পাথরবৃষ্টি। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলও। মৌজপুরে একটি ই-রিকশায় ভাঙচুর চালানো হয়। রিকশার যাত্রীদের লুঠ করা হয় তাঁদের মূল্যবান জিনিসপত্রও। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স (র্যাফ)। উদ্ধার হয় কার্তুজের খোল। এলাকায় ফ্ল্যাগ মার্চ করে তারা। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির জন্যে কেন্দ্রকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে অরবিন্দ কেজরীওয়াল বলেন, কম সংখ্যক পুলিশ থাকায় হিংসা নিয়ন্ত্রণে আনতে অক্ষম। উপর মহল থেকে নির্দেশ না আসা পর্যন্ত পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করতে পারছে না। প্রসঙ্গত, দিল্লীর পুলিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কব্জায়। হিংসা নিয়ন্ত্রণে আনতে ইতিমধ্যেই রাস্তায় নেমেছে ৩৫ কোম্পানি আধাসেনা। আরও ১৩ কোম্পানি আধাসেনা প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে খবর।
উত্তর-পূর্ব দিল্লীর পরিস্থিতি নিয়ে জরুরী বৈঠক তলব করেন কেজরি। তাঁর বাসভবনে বিধায়ক এবং অফিসারদের ডাকা হয়। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হয়। সাংবাদিক বৈঠকে অরবিন্দের বার্তা, শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি দিল্লীবাসীর কাছে। উত্তর-পূর্ব দিল্লীতে হিংসায় অনেক সাধারণ মানুষ এবং পুলিশ আহত হয়েছেন। দোকান, বাড়ি জ্বালানো হচ্ছে। এটা দুর্ভাগ্যবশত। পুলিশের সংখ্যা কম থাকায় হিংসা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি। জেলা শাসকের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে, অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পরই বিস্তারিত জানাবেন বলে অরবিন্দ কেজরিওয়াল।