হিংসা রুখতে এ বার দিল্লীতে নামানো হতে পারে সেনা। রাজধানীর আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে আলোচনা করতে মঙ্গলবার অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজল এবং দিল্লীর পুলিশ কমিশনার অমূল্য পট্টনায়ককে নিয়ে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমকে এই কথা জানান কেজরি।
বৈঠক শেষে দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যদি তার দরকার পরে তখন আশা করি সেনার সাহায্য পাব। কিন্তু, এখন পুলিশই যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে। প্রয়োজন পড়লে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশকর্মী উত্তেজনাপ্রবণ এলাকাগুলিতে মোতায়েন করা হবে। সাধারণ মানুষের কাছেও শান্তি বজায় রাখার আবেদন রাখছি।’
আজ সকালে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কেজরি জানান, সিনিয়রদের নির্দেশ না মেলায় সময় মতো পদক্ষেপ করতে পারেননি পুলিশকর্মীরা।কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হবে নাকি লাঠি চার্জ করা হবে, সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠতে পারেননি তাঁরা। বিষয়টি তিনি অমিত শাহকে জানিয়েছেন বলেও জানান অরবিন্দ।
সিএএ বিরোধী এবং সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘিরে গত তিন দিন ধরে অশান্ত জাফরাবাদ-সহ উত্তর-পূর্ব দিল্লীর একাধিক জায়গা। সোমবার পরস্পরকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করেছে তারা। এমনকি গুলিও চলেছে। তাতে সাত জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সফরের সময় এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। গতকাল রাতেই এ নিয়ে দিল্লী পুলিশের শীর্ষ আধিকারিদের সঙ্গে বৈঠক করেন অমিত শাহ। যে যে এলাকায় হিংসা দেখা দিয়েছে, সেখানকার বিধায়কদের নিয়ে আলাদা বৈঠক করেন কেজরিও।