ভোট হতে এখনো ঢের সময়। হিসেবমত প্রায় ৯ মাস বাকি। এখনও অবধি যা খবর, আগামী নভেম্বরে মার্কিন মুলুকে হতে পারে ভোট৷ তার আগে ভারতে এসে সুকৌশলে নিজের প্রচার সেরে গেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু নিজের প্রচারে ভারতে কেন? রাজনৈতিক মহলের মতে, প্রবাসী ভারতীয়রাই ট্রাম্পের লক্ষ্য৷ সেই ভোটব্যাঙ্কের দিকে তাকিয়ে ভোটের ক্ষেত্র প্রস্তুত করে গেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷
আমেরিকার বাইরে বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে প্রচারের সুর বেঁধে দিলেন ট্রাম্প৷ বললেন, বাজার চাঙ্গা হবে, যদি আমি ভোটে জিতে আসি৷ একইসঙ্গে আরও বলেন, তিনি ভোটে না জিতলে বাজার এমন ভাবে মুখ থুবড়ে পড়বে, যা আগে কখনও হয়নি৷ এর আগে সাধারণত কোনও রাষ্ট্রপ্রধানকে অন্য দেশে গিয়ে নিজের নির্বাচনী প্রচার করতে দেখা যায়নি৷ এক্ষেত্রে সাধারণতই ব্যতিক্রমী পথে হাঁটলেন ট্রাম্প৷
প্রচারের সুর বেঁধে তিনি আরও বলেন, তিনি প্রেসিডেন্টিয়াল নির্বাচনে জিতবেন৷ কারণ তাঁর সরকার দেশের অর্থনীতি, স্বাস্থ্য ও প্রতিরক্ষার জন্য অনেক করেছেন৷ দু’দেশের সম্পর্ককে জোরদার করার লক্ষ্যে কোনও বিতর্কিত প্রসঙ্গে এ দিন যাননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ভারতের পূর্ব দিকে যে ইন্দো-প্যাসিফিক দেশগুলি আছে (জাপান, অস্ট্রেলিয়া), তাদের সম্পর্কে মার্কিন বিদেশনীতির সঙ্গে ভারতের বিদেশনীতির বিশেষ বিরোধ নেই। ওই দুটি দেশ যেমন আমেরিকার বন্ধু, তেমন ভারতেরও বন্ধু।
কিন্তু ভারতের পশ্চিমে যে দেশগুলি রয়েছে (আফগানিস্তান, ইরান এবং পাকিস্তান), সেই দেশগুলি সম্পর্কে ভারত ও আমেরিকার স্বার্থ এবং বিদেশনীতির মধ্যে দৃশ্যতই কিছু বিরোধ রয়েছে। কিন্তু সেই প্রসঙ্গগুলি মোটামুটি ভাবে গতকাল এড়িয়ে গিয়েছেন দুই রাষ্ট্রনেতাই। বরং ভারতের পক্ষে যা উৎসাহজনক হতে পারে, সন্ত্রাসবাদের দমনে সেই বার্তাই দিয়েছেন পাকিস্তানকে। আবার এ-ও বলেছেন ট্রাম্প, যে পাকিস্তানের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক আগের চেয়ে ভালো হয়েছে। আফগানিস্তানের তালিবানের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করতে চলেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, এদিন দেশের অন্যতম তাবড় তাবড় বাণিজ্যনেতাদের সঙ্গে গোল টেবিল বৈঠকে হাজির ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই বৈঠকে যোগ দিতে এসেছিলেন, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি, মাহিন্দ্রা গ্রুপ চেয়ারম্যান আনন্দ মাহিন্দ্রা, টাটা সনসের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন এবং আদিত্য বিড়লা গ্রুপের চেয়ারম্যান কুমার মঙ্গলম বিড়লা৷ ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগের কথা শুনলেন ট্রাম্প৷