গতবছরের অগাষ্ট মাসে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সুড়ঙ্গ খোড়ার সময়ই ভয়ংকর বিপর্যয় ঘটেছিল বউবাজার চত্বরে। একের পর এক ভেঙে পড়েছিল বাড়ি। ঘরছাড়া হতে হয়েছিল একাধিক পরিবারকে। তারপর দীর্ঘদিন পেরিয়েছে। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর আংশিক রুটের সূচনা হয়েছে। নতুন করে বাকি অংশে সুড়ঙ্গ খোড়ার কাজ শুরু করা হয়েছে। কিন্তু এখনও ভোগান্তি অব্যাহত এলাকার বাসিন্দাদের। ঠিকানার গরমিল হওয়াতে মিলছে না রান্নার গ্যাস।
বউবাজারের এক বাসিন্দার কথায়, “মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বাড়িওয়ালার সরাসরি ভাড়ার চুক্তি হয়েছে। ফলে আমাদের কাছে বাড়ির ভাড়ার কোনও চুক্তিপত্র নেই। ডাক মারফত ব্যাংকের কোনও চিঠি বা নথি নতুন ঠিকানায় আসছে না। স্থানীয় ডাকঘরে গিয়ে বিষয়টি জানাতে গেলে তারাও ঠিকানার কোনও প্রমাণপত্র চেয়েছেন। রান্নার গ্যাস নেওয়াও রীতিমতো ঝক্কি হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
এবিষয়ে বাড়িওয়ালাদের সঙ্গে কথা বলা হলেও সমস্যা মিটছে না। বাধ্য হয়ে রাতারাতি ভিটে হারা এই পরিবারগুলি একত্রিত হয়ে গঠন করেছে একটি কমিটি। যার নাম স্যাকরাপাড়া লেন বাঁচাও কমিটি।
এ প্রসঙ্গে মেট্রো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হলে এক আধিকারিক বলেন, ঘরছাড়া বউবাজারের বাসিন্দাদের জন্য একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দুটো কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। তা সত্ত্বেও কিছু সমস্যা যে রয়েছে হাবেভাবে তা স্বীকার করে নেন তিনি।
