সিএএ-কে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত হল দিল্লী। ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে ফের রণক্ষেত্রে পরিণত হল উত্তর-পূর্ব দিল্লীর জাফরাবাদ এলাকা। যাঁর আঁচ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে অন্যত্রও। শহরের ভজনপুরা ও মৌজাপুরে সিএএ বিরোধী ও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে তুমুল সংঘর্ষ হয়। একে অপরকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করে দু’পক্ষই। ভজনপুরাতে পুলিশের জিপ ও একটি রিকশা জ্বালানোর অভিযোগ উঠেছে। দু’পক্ষের সংঘর্ষের মাঝে নিহত হয়েছেন দিল্লী পুলিশের এক হেড কনস্টেবল। গোকুলপুরী এলাকায় আহত হয়েছেন এক ডিসিপি -ও।
জাফরাবাদ এলাকায় বন্দুক হাতে এক যুবককে দেখা যায়। অভিযোগ, মোট ৮ বার গুলি চালিয়েছে সে। এমনকী ভাইরাল এক ভিডিয়োতে পুলিশকর্মীকে লক্ষ্য করেও বন্দুক শাসাতে দেখা যায় ওই দুষ্কৃতীকে। যদিও তৎক্ষণাৎ কোনও ব্যবস্থা নিতে পারেননি ওই পুলিশকর্মী। মৌজপুর মেট্রো স্টেশনের সামনে এবং কবীর নগর এলাকাতেও অশান্তির খবর মিলেছে। ভাইরাল কিছু ভিডিয়োতে একদল যুবককে ‘জয় শ্রী রাম’ বলতে শোনা গেছে।
মৌজপুরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করছে দিল্লি পুলিশ। চাঁদবাগে লাঠিচার্জ করা হয়েছে বলেও খবর। এদিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দিল্লীর উপ-রাজ্যপাল এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাহায্য চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। অন্যদিকে, জানা গেছে রাজধানীর ১০টি এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। গুজরাত থেকে ফিরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ জরুরি বৈঠক করবেন বলেও জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার রাতে জাফরাবাদ মেট্রো স্টেশনের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে যোগ দেন বহু মহিলা। রবিবার সকালে তাতে আরও অনেকে যোগ দেন। শুরু হয় ধরনা। তবে একই সময়ে জাফরাবাদের অদূরে মৌজপুরে আসে বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রের সিএএ-সমর্থন মিছিল। পুলিশ মিছিল আটকে দিলেও, সিএএ বিরোধী ও সমর্থকদের মধ্যে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। গতকালের পর আজও ফের একে অপরের উপর চড়াও হয় দু’পক্ষ।