মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারতে পা রাখার দিনই অনশনের ডাক দিল বিএসএনএলের কর্মী সংগঠন। রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড নিয়ে (বিএসএনএল) কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের টালবাহানা চলছিলই। তা নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে সরব শ্রমিক কর্মচারীরা। সরকারের এই মনোভাবের প্রতিবাদে সোমবার ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশজুড়ে অনশনে বসছেন তাঁরা। সংস্থার কর্মী-সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ অল ইউনিয়নস অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েশনস অব বিএসএনএল (এইউএবি) এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল বিএসএনএল বাঁচাতে ৬৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে একটি টাকাও আসেনি। তাই এই অনশন বলে খবর।
জানা গিয়েছে, বিএসএনএল ২০১৯ আর্থিক বছরে সংস্থার লোকসানের পরিমাণ ছিল ১৪,০০০ কোটি টাকা। এই পরিস্থিতিতে গত বছর ২৩ অক্টোবর বিএসএনএল এবং এমটিএনএল–এর জন্য ৬৯ হাজার ৭৫১ কোটি টাকার পুনরুজ্জীবন প্যাকেজ অনুমোদন করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল ৪জি স্পেকট্রাম বরাদ্দ এবং স্বেচ্ছাবসর প্রকল্প।
কর্মী সংগঠনগুলির অভিযোগ, স্বেচ্ছাবসর প্রকল্প ছাড়া বিএসএনএলের পুনরুজ্জীবন রূপরেখার কোনও শর্ত পূরণ করছে না কর্তৃপক্ষ। ৭৮ হাজার ৫৬৯ জন কর্মচারীকে স্বেচ্ছাবসর দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পূর্ব ঘোষণা অনুসারে ৪জি স্পেকট্রাম বরাদ্দ এখনও হয়নি। সংস্থার তহবিলেরও সংগ্রহের জন্য কোনও পদক্ষেপ করছে না কেন্দ্রীয় সরকার। তাই আজ দেশজুড়ে অনশনে বসার ডাক দিয়েছেন অর্থাভাবে ধুঁকতে থাকা এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কর্মচারীরা। ফলে এদিন পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।