উড়িষ্যার কান্ধামাল জেলার শৈলশহর দারিংবাড়ি। যার আবার ডাকনাম ‘উড়িষ্যার কাশ্মীর’! তবে এই শৈল শহরের নাম অবশ্য এক ইংরেজ সাহেবের নামে। ইংরেজ আমলে এই অঞ্চলের দায়িত্ব পেয়ে পাহাড়ি এলাকাটিতে থাকতে শুরু করেন দারিং সাহেব। তার পরে এক সময় তাঁর নাম থেকেই জায়গাটার নাম হয়ে যায়। ‘বাড়ি’ মানে অবশ্য ঘর নয়, ওড়িয়া ভাষায় ‘বাড়ি’র অর্থ গ্রাম।
ব্রহ্মপুর স্টেশন থেকে গাড়ি এগোল ৫৯ নং জাতীয় সড়ক ধরে। দূরের পাহাড় আস্তে আস্তে কাছে আসতে থাকে। পাক খেয়ে গাড়ি উঠতে লাগল। অতঃপর দারিংবাড়ি উদয়গিরি ফরেস্ট রেঞ্জ। এবং বিস্ময়। এ কি উড়িষ্যা? পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে রাস্তা উঠছে… গহীন বন, ঘন সবুজে কোথাও এতটুকু ফাঁক নেই।
উদয়গিরি ফরেস্ট রেঞ্জ থেকে মান্দাসারু পেরিয়ে গেলেই রাস্তা খুব একটা ভাল নয়, তবে সেটাই মজা। গভীর জঙ্গল, খুব নিরিবিলি। আর তার ভিতর দিয়ে এগিয়ে চলা… অবশেষে একটা ছোট্ট গ্রাম। সেখানে একটা পার্ক। টিকিট কেটে ঢোকা হল। উল্টো দিকের পাহাড়টা যেন তুলিতে আঁকা। এই সবুজ রঙের উপত্যকাটিকে বলা হয় ‘সাইলেন্ট ভ্যালি অফ ওড়িশা’। এ পারে ওয়াচ টাওয়ারে উঠে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেবল ও দিকে তাকিয়েই কাটিয়ে দেওয়া যায়। থাকার ব্যবস্থাও আছে। অসামান্য একটা কাঠের বাংলো।
লাভার্স পয়েন্ট দারিংবাড়ির এক চিরন্তন জায়গা। যদিও এখানকার পাহাড়ি নদী বিস্ময় জাগায়। দীর্ঘক্ষণ ঠান্ডা জলে পা ডুবিয়ে, এ পাথর-ও পাথরে লাফিয়ে সময় কেটে যায়!
কিভাবে যাবেন..
হাওড়া বা শিয়ালদহ থেকে সরাসরি চেন্নাই বা বিশাখাপত্তনমগামী ট্রেনে চেপে নামতে হবে ব্রহ্মপুর। সেখান থেকে গাড়িতে ঘণ্টা দুয়েকের রাস্তা দারিংবাড়ি।সাধারণত ঠান্ডা আবহাওয়া থাকার জন্য বছরের যে কোনও সময়েই যাওয়া যায়।