‘ফ্যাসিবাদী শক্তি আসামে বাঙালি নির্মূল অভিযান চালাচ্ছে’- আসামে বাঙালিদের ভোগান্তি দেখে বারবারই এই অভিযোগ উঠেছে সে রাজ্যের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে৷ ইতিমধ্যেই লাখ দুয়েক বাঙালি নিজেদের নাগরিকত্ব প্রমাণে ব্যস্ত। জেল খাটছেন ৯৮৮ জন। আবার ২৭ জন প্রাণও হারিয়েছেন ডিটেনশন ক্যাম্পে। আর এসবই হচ্ছে আসামে এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা নিয়ে এখনও কোনও সরকারি সিদ্ধান্ত হওয়ার আগেই।
তবে এতেও হয়নি। তালিকাভুক্তদের মধ্যে থেকে আরও নাম ছাঁটার তোড়জোড় চলছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, তালিকায় থাকা ‘অযোগ্য’দের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছেন রাজ্য এনআরসি সমন্বয়ক হিতেশ দেবশর্মা। ছ’মাস আগে প্রকাশিত হওয়া চূড়ান্ত এনআরসি তালিকায় অনাগরিক কেউ আছে কিনা, তা ফের খতিয়ে দেখতে চান তিনি। এরপরে তালিকাটি পাঠানো হবে রেজিস্ট্রার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার কাছে। তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বিজ্ঞপ্তি দেবেন।
প্রসঙ্গত, ১৯ লাখেরও বেশি নাম বাদ দিয়ে গত বছর ৩১ আগস্ট প্রকাশিত হয় এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা। হিন্দুত্ববাদী সরকার আসামে থাকলেও হিন্দু বাঙালি ও গোর্খাদের নামই বেশি বাদ যায়। অভিযোগ ওঠে, বাঙালিদের শায়েস্তা করতেই এই চাল। তবে ওই তালিকা হজম হয়নি বিজেপিরও। তাই সরকারি সীলমোহর পড়েনি। তাদের দাবি, চূড়ান্ত তালিকাতেও বহু বাংলাদেশির নাম রয়ে গিয়েছে।
রাজ্য এনআরসির সমন্বয়ক হিতেশ দেবশর্মা আসামের প্রতিটি জেলাশাসক তথা রেজিস্ট্রার অফ সিটিজেন রেজিস্ট্রেশনকে পাঠানো বার্তায় বলেছেন, ‘তালিকায় অন্তর্ভুক্ত অযোগ্যদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দ্রুত পাঠান। এই তথ্য ভারতের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে জরুরি ভিত্তিতে জানাতে হবে। তাই অবিলম্বে বিস্তারিত তথ্য পাঠান।’
এই প্রসঙ্গে আসাম রাজ্য নাগরিক অধিকার সুরক্ষা সমন্বয় সমিতির সম্পাদক সাধন পুরকায়স্থের অভিযোগ, ‘অযোগ্য’ বাছাইয়ের নামে আসলে বাঙালিদেরই বাদ দিতে চায় বিজেপি।