গত বছর ইন্দোরে এক পুরকর্মীকে প্রকাশ্য রাস্তায় ব্যাটপেটা করে, নিজের ক্ষমতা জাহির করেছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ছেলে আকাশ। যিনি নিজেও আবার বিজেপি বিধায়ক। দ্বিতীয়বার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর বিজেপির ঔদ্ধত্য কোন জায়গায় পৌঁছেছে, আকাশ ছিল তার একটা উদাহারণ মাত্র। কিন্তু, সেটা যে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না, বিজেপির মারব-ধরব রাজনীতির অংশ বিশেষ, সে প্রমাণ রাখলেন গেরুয়া পার্টির আর এক বিধায়ক। যোগী আদিত্যনাথের শাসনে অনেক দিনই উত্তরপ্রদেশ বিজেপির জন্য রামরাজ্যে পরিণত হয়েছে। সেই যোগীর দলেরই এক বিধায়কের ছেলে হাতের সুখে পেটালেন এক সরকারি আধিকারিককে। যদিও, কৈলাসপুত্রের মতো অপরাধ মাফ হয়নি অভিযুক্তের। সরকারি আধিকারিককে নিগ্রহে ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। বুধবার নিগ্রহের এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বালিয়ায়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, রেভেনিউ ইনস্পেক্টরকে মারধরের ঘটনায় হাজারি সিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। হাজারি সিং বিজেপি বিধায়ক সুরেন্দ্র সিংয়ের ছেলে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানায়, বুথস্তরের এক আধিকারিক (বিএলও)কে বালিয়ায় ট্রান্সফার করা নিয়ে অসন্তোষ থেকে এই সরকারি আধিকারিককে পেটানো হয়। ঘটনাটি ঘটে বুধবার। সূত্রের খবর, ওই বিএলওকে জামধারওয়া গ্রামে বদলি করার জন্য রেভেনিউ অফিসারের উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়। তিনি অপারগতার কথা জানালে, হাজারি সিংয়ের নিগ্রহের মুখে পড়তে হয়।
অতিরিক্ত পুলিশসুপার সঞ্জয়কুমার যাদব বৃহস্পতিবার জানান, বিধায়কপুত্র হাজারি সিং-সহ মোট তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। বাকি দু-জনের নাম নিখিল সিং ও মণিভূষণ। আইপিসির ১৪৭, ৩২৩, ৫০৪, ৩৩২ ও ৩৫৩ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। এ ছাড়া এসসি-এসটি আইনে পৃথক আর একটি মামলাও হয়েছে।
নিগৃহীত সরকারি আধিকারিক রাধেশ্যাম জানান, তাঁর নাকে ও পিছনে চোট লেগেছে। তবে, মূল অভিযুক্ত হাজারি সিং তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন। নিগৃহীতের দিকে পালটা আঙুল তুলে বিধায়কপুত্র বলেন, ‘ওই সরকারি আধিকারিক আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করায়, আমার এক সমর্থক ওনাকে ধাক্কা দিয়েছিলেন। তাতেই উনি পড়ে গিয়ে চোট পান। আমি ওনার গায়ে হাত তুলিনি।’