এর আগে ফাঁস হওয়া এক ভিডিওয় দেখা গিয়েছিল বাইক বাহিনীকে দিয়ে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের ‘শিক্ষা’ দেওয়ানোর নির্দেশ দিচ্ছেন তিনি। যা নিয়ে জোর বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। এবার ফের বিতর্কে জড়ালেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। আজ ‘অমর একুশের’ অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে একের পর এক বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন তিনি।
বিশ্বভারতীকে সোনার ডিম পাড়া হাঁসের সঙ্গে তুলনা করে তাঁর দাবি, এই বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে কৃত্রিম উপায়ে শ্বাসপ্রশ্বাস নিচ্ছে। নিজের ক্ষোভ উগরে দিতে কেন ভাষা দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চকে ব্যবহার করলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য, তা নিয়ে উঠেছে সমালোচনার ঝড়।
প্রসঙ্গত, দুই বাংলার পড়ুয়ারা বিশ্বভারতীতে পড়াশোনা করেন। তাই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শুক্রবার সকাল থেকে সাজো সাজো রব বিশ্বভারতীতে। সকালে শহীদবেদীতে ফুল, মালা দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। ওই মঞ্চে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
আর সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়েই তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি বিশ্বভারতী এখন অসুস্থ। কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়ে চলতে হচ্ছে। আমরা যাচ্ছে প্রশাসনিক দায়িত্বে আছি তারা জানে কী আর্থিক সংকট চলছে। এটা শুনতে খারাপ লাগলেও আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি, বিশ্বভারতী বহু লোকের রোজগারের জায়গা হয়ে গিয়েছে। অনেকেই এখান থেকে পেট চালান। বিশ্বভারতী হচ্ছে সেই হাঁস, যে হাঁস সোনার ডিম দিচ্ছে।’
অনেকেই মনে করছেন, কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতেই এমন ‘বিতর্কিত’ করেছেন উপাচার্য। তবে ‘অমর একুশে‘র অনুষ্ঠান মঞ্চে দাঁড়িয়ে কেন এমন মন্তব্য করে বিতর্ক বাড়ালেন সে বিষয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে ভাষা শহীদ স্মরণ মঞ্চে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিস্ফোরক মন্তব্যকে মোটেও ভাল চোখে দেখছেন না কেউই।