এবার অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের লক্ষ্যে গঠিত ট্রাস্ট নিয়ে শুরু হল নয়া বিতর্ক। ট্রাস্টের সভাপতি পদে এমন একজনকে বসানো হল যার বিরুদ্ধে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের মতো অভিযোগ রয়েছে।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের রাম জন্মভূমি ন্যাসের প্রধান তথা বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার অন্যতম অভিযুক্ত নৃত্যগোপাল দাস। পাশাপাশি রাম মন্দির ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক হচ্ছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সহ–সভাপতি চম্পক রায়। সবচেয়ে বড় কথা রাম মন্দির নির্মাণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাবে নৃপেন্দ্র মিশ্রকে, যিনি মোদীর প্রাক্তন সহযোগী ছিলেন। নির্মাণ কমিটির সভাপতি করা হল তাঁকে। এদিন একটি বৈঠকে ট্রাস্টের দায়িত্বে কারা থাকবেন তার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসরণ করে ৫ ফেব্রুয়ারি সংসদে দাঁড়িয়ে ১৫ সদস্যের রাম মন্দির ট্রাস্ট গঠনের ঘোষণা করেন। সেই সময় তিনি ট্রাস্টের ৯ জন সদস্যের নাম উল্লেখ করলেও বাকি পদগুলি শূন্য ছিল। এদিন এই ট্রাস্টের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাম মন্দিরের নির্মাণ কবে থেকে শুরু হবে তা নিয়ে আলোচনা হয় ওই বৈঠকে। রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের বিশ্ব প্রসন্ন তীর্থ স্বামী সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, মন্দির নির্মাণ কমিটি আগামী মাসে নির্মাণ শুরুর দিনটি স্থির করতে ফের আলোচনায় বসবেন।
এদিকে হনুমানগড়ির মহান্ত ধরমদাস রাম মন্দির ট্রাস্টের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তাঁর দাবি, ‘সুপ্রিম কোর্টের আদেশকে উপেক্ষা করে মন্দির নির্মাণের বিষয়টি সম্বন্ধে ভাল করে জানে এমন দক্ষ লোকের পরিবর্তে ৮০–৯০ বছরের প্রবীণদের বাছাই করা হয়েছে।’ ৯ নভেম্বর, অযোধ্যা মামলার রায় দেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ। সেই রায়ে অযোধ্যার বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমির সবটাই রামলাল্লাকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে অযোধ্যায় পাঁচ একর জমি দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।