ইন্টারনেট ব্যবহারের অধিকার নিজের ভাব প্রকাশের অধিকারের মধ্যেই পড়ে। তাই অনির্দিষ্ট কালের জন্য ইন্টারনেট বন্ধ রাখা ক্ষমতার অপব্যবহার ছাড়া কিছুই নয়। জম্মু-কাশ্মীরে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মোদী সরকারের উদ্দেশ্যে এমনই তোপ দেগেছিল সুপ্রিম কোর্ট। তারপর চাপে পড়ে সরকার কাশ্মীরের একাধিক সরকারি দফতরে মাসখানেক হল ২জি ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করলেও গোটা রাজ্যে এখনও জনসাধারণের জন্য এখনও ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হয়নি। তবে ইদানীং উপত্যকার একাধিক বাসিন্দা ভিপিএন-এর মাধ্যমে নেট পরিষেবা ব্যবহার করছে। যদিও আগে এই নিয়ে এতদিন বিশেষ নজর দেয়নি জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। কিন্তু সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় বেশকিছু ভিডিও এবং পোস্ট ভাইরাল হয়, যা দেখেই বেঁকে বসে পুলিশ প্রশাসন।
সাইবার বিভাগ সম্প্রতি তদন্তসূত্রে জানতে পারে যে, কাশ্মীরের একাংশ বাসিন্দা ‘ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক’-এক মাধ্যমে ইন্টারনেট পরিষেবা পাচ্ছে। এরপরেই শ্রীনগর সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের করে কাশ্মীর পুলিশ। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে তদন্ত। প্রাথমিকভাবে অনুমান, ভিপিএন ব্যবহারকারীদের একাংশই তরুণ তরুণী। আর তাই তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আগে জম্মু-কাশ্মীরের আইজি বিজয় কুমার জানান, ‘যেসব যুবক-যুবতীরা ইন্টারনেট পরিষেবার মাধ্যমে উপত্যাকার বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে, তাঁদের বাবা, মা সহ পরিবারের কাছে অনুরোধ দয়া করে তাঁদের বাচ্চাদের সামলান। নাহলে পুলিশকেই কড়া হতে হবে।’