শুরুর আগেই শেষ। হুবহু তৃণমূলকে নকল করে তাদেরই কায়দায় তাদের মাৎ দিতে চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু কোথায় কী? কয়েকদিন যেতে না যেতেই বঙ্গ বিজেপির ‘সে গুড়ে বালি।’ জানিয়ে দেওয়া হয়, বিজেপির তরফে নাকি এই ধরনের কোনও কর্মসূচিই নেওয়া হয়। নতুন এই ঘটনায় পদ্ম শিবিরের অন্দরে অস্বস্তিও উঠেছে চরমে।
কথা হচ্ছে বিজেপির নয়া কর্মসূচি ‘বিজেপিকে বলো’ নিয়ে। দিনকয়েক বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান, পুরভোটে মানুষের প্রত্যাশার হদিশ পেতে টোল ফ্রি নম্বর চালু করতে চলেছে বিজেপি। এরপরই সংবাদ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে যে বিজেপির এই নতুন প্রকল্পের পোশাকি নাম হতে চলেছে ‘বিজেপিকে বলো’। বেশ কয়েকটি জাতীয় সংবাদ মাধ্যমের তরফেও দাবি করা হয়, ‘দিদিকে বলো’র কায়দাতেই পাল্টা তৃণমূলের সঙ্গে টক্কর দিতে এই কর্মসূচি শুরু করছে বিজেপি। বস্তুত, পুরভোটের আগে মানুষের মন পেতেই যে বিজেপির কর্মসূচি তা বুঝতে কারোর অসুবিধা হয়নি। কিন্তু না, যখন বিজেপি বুঝতে পারে যে তাদের এই পদক্ষেপ তৃণমূলের ফটোকপি হয়ে যাচ্ছে, তখনই সেখান থেকে ফিরে আসে বিজেপি। পদ্ম শিবিরের তরফে ঘোষণা করা হয়, বিজেপির তরফে এই ধরনের কোনও কর্মসূচি নেওয়া হয়নি।
বিজেপির বহু নেতা-নেত্রীরাই একাধিক সময়ে অভিযোগ করে এসেছেন যে ‘দিদিকে বলো’ প্রকল্প আসলে অন্য উদ্দেশে চালু করা। ফোন ট্যাপিং ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে, এই টোল ফ্রি নম্বরের মাধ্যমে বিজেপি মনোভাবাপন্ন অংশের মনের কথা আর সব তথ্য হাতিয়ে নেওয়াই এর আসল উদ্দেশ্য বলে দাবি বিজেপি শিবিরের। যেই বিজেপি তৃণমূলের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করছিল, তারাই আবার সেই পথে হাঁটবে তা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছিল দলের অন্দরের লোকেদেরই।
তাই শেষ পর্যন্ত বিজেপির বঙ্গ শাখার তরফে জানানো হয়েছে, ‘বিজেপিকে বলো’ এই ধরনের কোনও কর্মসূচি দলের তরফে নেওয়া হয়নি। দিলীপ ঘোষ টোল ফ্রি নম্বর চালু করার কথা বললেও সেই পরিকল্পনাও এখন অস্তাচলে। উল্টে পুরো দোষটাই চাপানো হয়েছে তৃণমূলের ঘাড়ে। বিজেপি নিজের ঘাড় থেকে এই সমস্যা ঝেড়ে জানিয়েছে, তৃণমূলই এই সমস্ত কিছুর পিছনে কলকাঠি নেড়েছে।