আগামী শনিবার গোয়ায় আই লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে চার্চিল ব্রাদার্সের মুখোমুখি মোহন বাগান। ঘরের মাঠে প্রথম পর্বের ম্যাচে গোয়ান ক্লাবটির কাছে ৪-২ গোলে হেরেছিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। এবার সেই হারের মধুর প্রতিশোধ নিতে মরিয়া কিবু ভিকুনা-ব্রিগেড।
আগামী ম্যাচে জয়ের লক্ষ্যে অনুশীলনে ফুটবলারদের নিখুঁত করে তুলতে চাইছেন মোহন বাগানের স্প্যানিশ কোচ। মঙ্গলবার বিকেলে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের প্র্যাকটিস গ্রাউন্ডে ঘণ্টা দেড়েক গা ঘামালেন পাপা দিওয়ারা-ফ্রান মোরান্তেরা। অনুশীলন পর্বের প্রথম দিকে ড্যানিয়েল সাইরাস ও গুরজিন্দর কুমারকে ফিরিয়ে এনে নতুনভাবে রক্ষণ সাজালেন স্প্যানিশ কোচ।
এ দিন ফুটবলারদের কঠোর অনুশীলন করালেন কিবু। প্রায় দু’ঘণ্টার হাড়ভাঙা পরিশ্রম। সেট পিস থেকে পাসিং ফুটবল, শারীরিক সক্ষমতা বাড়ানোর নানা কসরত, কিছুই বাদ গেল না। পজেশনাল রণনীতি তৈরির সময় চোট সারিয়ে ফেরা ড্যানিয়েল সাইরাসকে দেখা গেল স্টপারে ফ্রান মোরান্তের সঙ্গে। লালকার্ড দেখে বাইরে চলে যাওয়া ধনচন্দ্র সিংহের জায়গায় খেলানো হল গুরজিন্দর কুমারকে।
চার্চিলের দুই প্রধান অস্ত্র উইলিস প্লাজা এবং সিসেকে আটকাতে রণনীতি তৈরি করলেন কিবু। তবে খেতাবের লড়াইতে থাকা গোয়ার পারিবারিক দলকে নিয়ে দু’রকম ভাবনার প্রতিফলন দেখা গেল সবুজ-মেরুন ফুটবলারদের মধ্যে। ড্যানিয়েল সাইরাস যেমন বলে দিলেন, ‘‘ওদের হেড করতে দেওয়া যাবে না। সব চেয়ে বড় কথা, দলটা শেষ মিনিট পর্যন্ত লড়ে। আমাদেরও শেষ মিনিট পর্যন্ত প্রস্তুত থাকতে হবে।’’ অন্য দিকে দিপান্দা ডিকার সঙ্গে আই লিগের যুগ্ম সর্বোচ্চ গোলদাতা ফ্রান গঞ্জালেস বলছেন, ‘‘আমরা লিগে একটা ম্যাচ হেরেছি। এবং সেটাও নিজেদের ভুলে। প্লাজা বড় মানের ফুটবলার কিন্তু আমাদের পাপা আছে। পাপা আই লিগে খেলা সেরা ফুটবলার।’’ পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন আর এক স্টপার ফ্রান মোরান্তে। গঞ্জালেস তাঁকে দাঁড় করিয়ে প্রশ্ন করলেন, আমাদের পাপা-ই তো সবার সেরা? মোরান্তে বললেন, ‘‘পাপা, পাপা,’’ বলেই দৌড়ে উঠে পড়লেন গাড়িতে। বোঝাই গেল পাপা দিয়োহারার গোলে ফেরা পুরো দলকেই উজ্জীবিত করে তুলেছে।
প্রথম পর্বে চার্চিল ব্রাদার্সের কাছে হারের প্রভাব কি শনিবার পড়বে? আপনারা কি চাপে রয়েছেন? সেনেগালের স্ট্রাইকার পাপার সপ্রতিভ উত্তর, ‘কোনও চাপই নেই। সমর্থকদের প্রত্যাশার কথা আমরা সকলেই জানি। প্রথম পর্বে চার্চিল ব্রাদার্সের বিরুদ্ধে মোহন বাগানের ম্যাচের ভিডিও দেখেছি। সেদিনও দল ভালো খেলেছিল। লা লিগায় এর চেয়ে অনেক কঠিন পরিস্থিতিতে খেলেছি। তাই শনিবার ভয়ডরহীন ফুটবলই খেলব। স্কোরশিটে আমার নাম তোলা বড় ব্যাপার নয়। দলের জয়ই মুখ্য। প্রথম দিকের চেয়ে আমি এখন অনেক বেশি ম্যাচ ফিট।’