অবশেষে মিলেছে কাঙ্খিত জয়। ১ মাসেরও বেশি সময় পরে গত পরশু ইন্ডিয়ান অ্যারোজকে হারিয়ে জয়ের সরণিতে পৌঁছনোর পরে চনমনে মেজাজে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। এরই মধ্যে সমর্থকদের জন্য সুখবর, আগামী সপ্তাহের শুরুতেই ইস্টবেঙ্গল রক্ষণকে নির্ভরতা দিতে চলে আসছেন গত মরশুমে লাল-হলুদ শিবিরে খেলে যাওয়া জনি অ্যাকোস্টা। তারও আগে চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে আসছেন রক্ষণাত্মক মিডফিল্ডার ভিক্টর পেরেস আলোন্সো। ইস্টবেঙ্গলে বিনিয়োগকারী সংস্থার সূত্রে খবর, দু’জনের কাছেই ইতিমধ্যে বিমানের টিকিট-সহ ভিসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি, চোট সারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠছেন আক্রমণ ভাগের খেলোয়াড় এডমুন্ড লালরিনডিকাও। প্রথম পর্বের ডার্বিতে চোট পেয়েছিলেন তিনি। তবে ২৩ ফেব্রুয়ারি পরের ম্যাচে ট্রাউ এফসির বিরুদ্ধে তাঁকে নাও খেলাতে পারেন ইস্টবেঙ্গল কোচ মারিও রিভেরা। কারণ এই ম্যাচ ইস্টবেঙ্গল খেলবে ইম্ফলের খুমান লাম্পাক স্টেডিয়ামে। সেখানকার মাটি শক্ত। ফলে ফের যেন এডমুন্ড চোট না পান, সেই চিন্তা রয়েছে কোচের। তাই সুস্থ এডমুন্ড যুবভারতীতে তার পরের ম্যাচে ২৯ ফেব্রুয়ারি চার্চিল ব্রাদার্সের বিরুদ্ধে নামতে পারেন। ইস্টবেঙ্গল শিবির আশাবাদী, এতেই রক্ষণের সঙ্গে আক্রমণ ভাগ শক্তিশালী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দলে ভারসাম্য আসবে।
তবে এঁরা চলে এলে বিদেশিদের মধ্যে কাকে ছাড়া হবে তা নিয়ে লাল-হলুদ শিবিরের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। সূত্রের খবর, এর মধ্যে কাশিম আইদারার উপরে বর্তমান কোচের আস্থা রয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কী হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
আই লিগে এই মুহূর্তে ১২ রাউন্ডের পরে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে ছয় নম্বরে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। সোমবারের ম্যাচের আগে টানা ছয় ম্যাচে জয় আসেনি। তাই মুম্বইয়ের কুপারেজ স্টেডিয়ামে সেই বহু প্রতীক্ষিত জয়ের পরে ফুটবলারদের মধ্যে হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরেছে। সোমবারের ম্যাচের নায়ক লালরিনডিকা রালতে বলছেন, ‘পর পর ম্যাচ হারায় আত্মবিশ্বাস ধাক্কা খেয়েছিল। এই জয় ফের দলের মনোবল চাঙ্গা করেছে। এ বার আমাদের বাকি ম্যাচগুলো জিতে লিগ তালিকায় উপরের দিকে যেতে হবে।’