একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়েও সভ্য দেশের কোনো এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে এমন মধ্যযুগীয় ভাবনা জায়গা পায়, সে কথা বিশ্বাস করতে অসুবিধা হয়। ঘটনাস্থল গুজরাতের ভুজের সহজানান্দ গার্লস ইনস্টিটিউটের হস্টেল। কলেজের ৬৮ জন ছাত্রীকে লাইন করে দাঁড় করিয়ে খোলানো হল অন্তর্বাস। পরীক্ষা করে দেখা হল, তাঁদের পিরিয়ডস হয়েছে কিনা! আমরা সমাজের ঠিক কোন স্তরে বসবাস করছি, বা কোন নিম্মপর্যায়ে নেমে গেছে আমাদের মানসিকতা, তার আবারও প্রমাণ পাওয়া গেল গুজরাতের স্বামী নারায়ণ ভুজ মন্দিরের পুরোহিত স্বামী ক্রুষ্ণাস্বরূপ দাসজির মন্তব্যে। তিনি বললেন, কোনও ঋতুস্রাব চলাকালীন কোনও মহিলা যদি রান্না করে তাহলে পরজন্মে কুকুর হয়ে জন্মাবে সে।
নিজেদের শিষ্যদের ঋতুস্রাব নিয়ে তিনি বলেন, “কোনও রজঃশলা মহিলা যদি রান্না করেন তাহলে সে পরের জন্মে কুকুর হয়ে জন্মাবে এবং ওই মহিলার হাতের রান্না যদি কেউ খায় তাহলে পরের জন্মে সে বলদ হয়ে জন্মাবে।”
স্বামী বলেন, “ঋতুস্রাব চলাকালীন মহিলারাও জানেন না যে সেই তিনদিন কঠোর তপস্যা করে কাটাতে হয়। সেসময় তাদের হাতে বানানো রুটি খেলে পরের জন্মে বলদ হয়ে জন্মাবে তোমরা। তাই বিয়ের আগে রান্না শিখে নেওয়া ছেলেদের দরকার।”জানা গিয়েছে,ঋতুস্রাব চলাকালীন নাকি মহিলাদের মন্দিরের রান্নাঘরেও ঢুকতে দেওয়া হয় না এই মন্দিরে।
সম্প্রতি, এই ভুজ ইন্সটিউটেই ঋতুস্রাব হয়েছে কিনা প্রমাণ পেতে ওই কলেজের ৬৮ জন ছাত্রীকে অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য করা হল কলেজের মধ্যে। ন্যাক্কারজনক এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। এবার এই ঘটনা ঘিরেও তীব্র নিন্দার ঝড় উঠেছে চারপাশে।