বাল্য বন্ধু প্রয়াত। আর দেখা হবে না। তবে রয়ে যাবে ছোটবেলা, স্কুল কলেজ, খেলার মাঠ। তাপস পালের মৃত্যুর খবরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তাঁর বাল্যবন্ধু বাবু পাল। তিনি জানালেন, শেষ দিন পর্যন্ত বন্ধু তাপসের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক ছিল। মুম্বই থেকে শেষ ফোনে তাপস পাল জানিয়েছিলেন, মাস দেড়েক পরই ফিরবেন। ফিরে এসে আবার শুটিং শুরু করবেন।
তারপর সব শেষ। আজ সকালেই বাবু পাল খবর পান বন্ধুর মৃত্যুর৷ বড় হয়ে ওঠার সবকিছুতেই জুটি ছিলেন দুজনে। হুগলির চন্দননগরের সর্ষেপাড়ার ডাক্তার গজেন্দ্র চন্দ্র পালের একমাত্র পুত্রসন্তান ছিলেন তাপস পাল। তিন বোন ও এক ভাইয়ের সর্ষেপাড়ার বাড়িতেই বড় হয়ে ওঠা। প্রথমে পাড়ার কাছেই কানাইলাল বিদ্যামন্দিরে পড়াশোনা। তারপর চুঁচুড়া মহসিন কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ।
প্রথমদিকে চন্দননগরে বাবা গজেন্দ্র চন্দ্র পালের কাছে আসাযাওয়া করতেন তাপস। কিন্তু বাবা প্রয়াত হওয়ার পর থেকেই চন্দননগরের সঙ্গে যোগাযোগে টান পড়ে। তবে শেষবার বছরখানেক আগে একবার চন্দননগর এসেছিলেন তিনি। সেইসময় বাল্যবন্ধুর কাছেই আসেন। একসঙ্গে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে ফের কলকাতায় ফেরত চলে যান। আজ সাতসকালে চন্দননগরে তাপস পালের প্রয়াণের খবর পেয়েই সবাই ভিড় জমিয়েছেন বাড়ির সামনে। ঘরের ছেলের প্রয়াণে মর্মাহত চন্দননগর বাসী।