শিক্ষা ও প্রভাব-প্রতিপত্তি আনে ঔদ্ধত্য। সেই কারণেই শিক্ষিত ও সম্ভ্রান্ত পরিবারে দিন দিন বিবাহবিচ্ছেদের সংখ্যা বাড়ছে। এমনই মত আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের। ভারতে হিন্দু সমাজের কোনও বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অহমদাবাদে আরএসএস-এর একটি অনুষ্ঠানে সপরিবার উপস্থিত ছিলেন দলের কর্মী-সমর্থকরা। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভাগবত বলেন, ‘আজকের দিনে বিবাহবিচ্ছেদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। ছোটখাটো ইস্যুতেই লড়াই করছে মানুষজন। শিক্ষিত ও সম্ভ্রান্ত পরিবারে ডিভোর্সের সংখ্যা বেশি। কারণ শিক্ষা ও প্রভাব-প্রতিপত্তি থেকে আসে ঔদ্ধত্য। তার ফলস্বরূর পরিবারগুলি ভেঙে যায়। ভেঙে যায় সমাজও। কারণ সমাজটাও পরিবারের মতো।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই স্বয়ংসেবকরা তাঁদের পরিবারকে সংঘে তাঁদের কাজকর্মের কথা বলুন।’ মহিলাদের ঘরবন্দী করে রাখা প্রসঙ্গে আরএসএস প্রধান বলেন, ‘সমাজের এই অবস্থার কারণ, গত ২০০০ বছর ধরে চলে আসা প্রথা। মহিলারা এখানে ঘরবন্দী হয়ে থাকেন। আমি একজন হিন্দু। সব ধর্মের বিশ্বাসের জায়গাগুলিকেই শ্রদ্ধা করি। তবে নিজের জায়গাটা সম্পর্কে আমার ভাবনা অনেক দৃঢ়। আমার পরিবার থেকে আমি সংস্কার পেয়েছি। মাতৃশক্তি এগুলি আমাদের শিখিয়েছে। মহিলাদের ছাড়া সমাজ হয় না। সমাজের যত্ন না-নিলে আমরাও বাঁচব না, পরিবারও বাঁচবে না।’
হিন্দু সমাজ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ভাগবত বলেছেন, ‘ভারতে হিন্দু সমাজের কোনও বিকল্প নেই। আর হিন্দু সমাজেরও পরিবারের মতো আচরণ করা ছাড়া অন্য কোনও বিকল্প নেই।’