বাংলার বক্সার মনোজিৎ কুমার সাউ এখন এক নতুন দায়িত্ব পালন করছেন। অলিম্পিক্সের প্রস্তুতিতে সাহায্য করছেন অমিত পাঙ্ঘালকে। শুধু রিং এর যুদ্ধ নয়, জীবন যুদ্ধেও নানান চড়াই উতরাই পেরিয়েছেন৷ রিং এর ভিতরে এবং রিংয়ের বাইরের দুটো লড়াই জিতেই জাতীয় বক্সিংয়ে ব্রোঞ্জ পেয়েছেন। বাংলা থেকে ভারতের সিনিয়র জাতীয় শিবিরে সুযোগ পেয়েছেন তিনি। এবার এক নতুন দায়িত্ব।
বিশ্বের এক নম্বর অমিতকে নিয়ে মনোজিৎ বলছেন, ‘‘অমিতও খুব ভাল বক্সার। ও অলিম্পিক্সে যাবেই। এমনকী পদক পেলেও অবাক হব না। ক্যাম্পে আমি ওর স্পারিং পার্টনার। তাই খুব ভাল করে জানি, ও কতটা দক্ষ বক্সার। পরের শিবিরেও ওর সঙ্গে কাজ করব।’’
শিবপুরের বাসিন্দা মনোজিতের লড়াইটা শুরু হয়েছিল অনেক ছোট থেকেই। তবে দমে যাননি তিনি। দারিদ্রতাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এগিয়ে স্বপ্নের দিকে এগিয়ে গিয়েছেন মনোজিৎ। তিনি বলছিলেন, ‘‘ছোটবেলা থেকে আমি দেখতাম, পাশের শিবপুর পুলিশ লাইনে বক্সিং হচ্ছে। ওই সময় বিজেন্দ্র সিংহকে দেখতাম। দারুণ বক্সার। কোথা থেকে কোথায় উঠে এসেছে। ওকে দেখে দারুণ ভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম। তখনই ঠিক করে নিই, আমাকেও কিছু করতে হবে বক্সিংয়ে।’’ আর এখন সেই অনুপ্রেরণা খোঁজেন অমিত পাঙ্ঘালের মধ্যে। অমিত আর তিনি— দু’জনেই ৫২ কেজি বিভাগের বক্সার।