ভ্যালেন্টাইন ডে’র আনন্দে মাতবে বিশ্ব। শহর পেরিয়ে এখন প্রেম দিবস পালনের হিড়িক রাজ্যেও ছড়িয়ে পড়েছে। গতকাল যুগলের দল যখন প্রেম দিবস পালনে ব্যস্ত হয়েছিল তখনই কেঁদে উঠেছিল নদিয়া জেলার তেহট্টের হাঁসপুকুরিয়া গ্রাম। পুলুওয়ামায় জঙ্গি হামলার ঘা যে এখনও স্পষ্ট সেখানে। গ্রামের ছেলের সুদীপের স্মরণে তাই মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেছে তাঁরা। যা প্রতিষ্ঠা হল গ্রামের বাড়িতে। পুলওয়ামাতে শহীদ হয়েছিলেন হাওড়ার উলুবেড়িয়ার জওয়ান বাবলু সাঁতরাও। তাঁর গ্রামের বাড়িতেও স্থাপিত হল মূর্তি।
মূর্তি দেখলে মনে হবে এখনও সামনেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন বছর সাতাশের জওয়ান সুদীপ। আসলে মূর্তি তৈরি করেছেন কে সেটাও দেখার বিষয়। মূর্তি তৈরী করেছেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত মৃৎশিল্পী সুবীর পাল। নদিয়ার পলাশীপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন সুদীপ বিশ্বাস। সিআরপিএফ-এর ৯৮ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ান ছিলেন তিনি। ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় জঙ্গি হানায় শহীদ হন হাঁসপুকুরিয়া গ্রামের তিলিপাড়ার সুদীপ। সেনাবাহিনীতে সুদীপ সাড়ে চার বছর কাজ করেছিলেন। সেদিন সকালে ৪৪ জওয়ানের মধ্যে তিনিও ছিলেন। ওই বছর পৌষ মাসে বাড়ি গিয়েছিলেন তিনি। তারপরে আর ফেরা হয়নি তাঁর। বাড়ি ফিরেছিল সুদীপের কফিন।
বাউড়িয়ার চককাশীতে বাবলুর পূর্ণাবয়ব মূর্তিতে মাল্যদান করেন এলাকার মানুষ। মেচেদা থেকে বাইক মিছিল করে এসে তাঁকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সেখানকার বাসিন্দারা। এলাকার কয়েকটি স্কুল থেকে ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক–শিক্ষিকারা তাঁর বাড়িতে গিয়ে বাবলুর মা ও ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করেন। এছাড়াও চককাশীতে বাবলুর স্মৃতিতে উলুবেড়িয়া পুরসভার উদ্যোগে একটি চারদলীয় মহিলা ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। তবে এদিন চককাশীতে সিআরপিএফ কর্তৃপক্ষের কোনও লোকজন আসেননি। বা কেউই বাবলুর বাড়িতে ফোন করেও সমবেদনা জানাননি বলে জানান বাবলুর ভাই কল্যাণ সাঁতরা।