মোহনবাগান ইতিমধ্যেই এটিকের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে পরের মরশুমে আইএসএলে খেলা পাকা করে ফেলেছে। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের হাতে নতুন কোনও ইনভেস্টর বা স্পনসর নেই। তাই পরের মরশুমে আইএসএলে মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের একসঙ্গে খেলার সম্ভাবনা ক্রমশ কমছে।
ইস্টবেঙ্গলের প্রধান কর্তা দেবব্রত সরকার অবশ্য বললেন, ‘ইস্টবেঙ্গলকে ছাড়া আইএসএল সংগঠন করা অসম্ভব। আর ওরা যে দিনই ডেড লাইন করুক না কেন, আমরা স্পনসর যোগাড় করবই।’
ইস্টবেঙ্গল আইএসএলে অন্তর্ভুক্ত হলে ১১ নম্বর টিম হবে। তাতে ম্যাচ বাড়বে। সব টিমের বাজেট হয়ে যায় এপ্রিলেই। ম্যাচ বাড়লে বাজেটেও হেরফের হবে। তাই ইস্টবেঙ্গলকে স্পনসরের নাম জানাতে হবে ৩১ মার্চের মধ্যে। যাতে এপ্রিলেই এ নিয়ে এফএসডিএল সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
আগে শোনা গিয়েছিল, ইস্টবেঙ্গলের নতুন বিনিয়োগকারীর জন্য আইএসএলের আয়োজক এফএসডিএল জুন মাস পর্যন্ত সময় দেবে। কিন্তু শুক্রবার এফএসডিএলের এক কর্তা সাফ বলে দিয়েছেন, ইস্টবেঙ্গলের যোগদানের আবেদন করার জন্য মেয়াদ ৩১ মার্চ। কারণ আইএসএলের মরসুম ধরা হয়, কোনও বছরের এপ্রিল থেকে পরের বছরের মার্চ পর্যন্ত। সব ফ্র্যাঞ্চাইজি এই নিয়ম মেনে আসছে গত ৬ বছর ধরে। অর্থাৎ আইএসএলে নাম দেওয়ার জন্য ইস্টবেঙ্গলের হাতে রয়েছে মাত্র ৪৫ দিন।
ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে আবার সরকারিভাবে নতুন বিনিয়োগকারীর নাম জুন মাসের আগে ঘোষণা করা প্রায় অসম্ভব। কারণ কোয়েসের সঙ্গে তাদের চুক্তি শেষই হবে ৩১ মে। লাল হলুদ কর্তারা বহু বিনিয়োগকারীর সঙ্গে কথা বললেও এখনও পর্যন্ত কোনও সংস্থার সঙ্গেই ইতিবাচক কিছু হয়নি। তাই আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে নতুন বিনিয়োগকারী পাওয়া ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে পাওয়া খুব কঠিন। তার থেকেও বড় কথা, যে বিনিয়োগকারী আসবে, তারা সরাসরি তাদের নাম টিমে যুক্ত করতে পারবে না। যেমন বেঙ্গালুরু এফসির মালিক জিন্দল গ্রুপ হলেও টিমের নামে কোথাও জিন্দল নেই। জামশেদপুর এফসিতেও যে ভাবে নেই টাটা-র নাম।
কোয়েসকে ৭০ ভাগ শেয়ার দিয়ে বেশ খারাপ অভিজ্ঞতা হওয়ায় ইস্টবেঙ্গল কর্তারা নতুন বিনিয়োগকারী হিসেবে এমন একজনকে খুঁজছে, যাদের সঙ্গে শেয়ার ভাগ হবে পঞ্চাশ: পঞ্চাশ। কিন্তু ভারতীয় ফুটবলে এমন বিনিয়োগকারী পাওয়া বেশ দুষ্কর। তাই আগামী মরসুমে ইস্টবেঙ্গলের আইএসএল খেলা বেশ কঠিন।