‘দেশ কে গদ্দারো কো গোলি মারো’র মতো মন্তব্য করা উচিত হয়নি। সম্ভবত তার খেসারত দিতে হয়েছে দলকে।’ দিল্লীতে দলের গোহারা হার নিয়ে মুখ খুলে এমনটাই বলেছেন বিজেপির ‘চাণক্য’ অমিত শাহ। সেনাপতির পর এবার এক এক করে মুখ খুলছেন বাকিরাও। শুধু তাই নয়। নিজের নিজের মন্তব্য নিয়ে পাল্টিও খাচ্ছেন গেরুয়া শিবিরের তাবড় তাবড় নেতা-মন্ত্রীরা। যেমন শাহের মন্তব্যের পরই এবার তড়িঘড়ি নিজের স্বপক্ষে সাফাই গাইতে ময়দানে নামলেন কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। কারণ তাঁর বিরুদ্ধে কেজরিকে ‘জঙ্গী’ বলে মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে।
সাংবাদিকদের জাভড়েকর বলেন, ‘ওই ধরনের কোনও কথা আমি বলিনি। আসলে দিল্লী বিধানসভা নির্বাচনের প্রধান বিষয় হল কংগ্রেসের হার। সেখানে কেজরি কেন!’ কিন্তু জাভড়েকর যা বলেছিলেন আর ভোটে হারার পর যা বলছেন তার মধ্যে ফারাক বিস্তর। অধিকাংশ জাতীয় চ্যানেলে তাঁর ওই মন্তব্য প্রচারিত হয়েছিল। দিন দশেক আগে জাভড়েকর স্পষ্ট বলেছিলেন, দিল্লীর মানুষ কেজরিওয়ালের কাছ থেকে সরে যাচ্ছেন। তার পরেও উনি ভাল মুখ করে প্রশ্ন করছেন, আমি জঙ্গী? হ্যাঁ, আপনি জঙ্গী। এর বহু প্রমাণ রয়েছে। আপনি নিজেই বলেছেন আপনি অ্যানারকিস্ট। অ্যানারকিস্ট ও টেররিস্টের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই।
উল্লেখ্য, দিল্লী বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে মেরুকরণকেই একপ্রকার হাতিয়ার করে রাস্তায় নেমে পড়ে বিজেপি। কখনও কেজরিকে জঙ্গী, কখনও দিল্লী নির্বাচনকে ভারত-পাকিস্তানের লড়াই, কখনও বিরোধীদের গুলি করে মারার নিদান দেওয়া হয়। বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর তো প্রকাশ্য সভার আওয়াজ তোলেন, দেশের গদ্দারদের গুলি করে মারতে। যা নিয়ে এখন হাত কামড়াচ্ছে গেরুয়া শিবির। খোদ শাহও কবুল করে নিয়েছেন, এমনই সব বিতর্কিত মন্তব্যেরই খেসারত দিতে হয়েছে দলকে।