সম্প্রতিই দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, যেসব নেতাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার অভিযোগ রয়েছে তাদের কেন টিকিট দেওয়া হচ্ছে তার বিশদ বিবরণ রাজনৈতিক দলগুলিকে নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশকে ধন্য ধন্য করছে দেশ। এর মাঝেই উঠে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এক রিপোর্টে প্রকাশ করা হয়েছে, শেষ ১৫ বছরে ফৌজদারি মামলা চলছে এমন সাংসদের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ।
অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মসের রিপোর্ট বলছে, ফৌজদারি মামলা চলছে এমন সাংসদের সংখ্যা বিগত ১৫ বছরে প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে গিয়েছে। এদের মধ্যে অনেক সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রাজনৈতিক কারণেই দায়ের করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ‘দাগী’ সাংসদ নিয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে জেডিইউ, তাদের ১৬ জনের মধ্যে ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা। এরপরেই রয়েছে শিবসেনা (১১/১৮)। কংগ্রেসের ৫২ জনের মধ্যে ৩০ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। তৃণমূলের ২২ জন সাংসদের ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিজেপির ৩০২ সাংসদের মধ্যে ১১৭ জনের বিরুদ্ধে এই মামলা চলছে।
উল্লেখ্য, এক মামলার শুনানির প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, যেসব নেতাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার অভিযোগ রয়েছে তাদের কেন টিকিট দেওয়া হচ্ছে তার বিশদ বিবরণ রাজনৈতিক দলগুলিকে নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। শুধু তাই নয়, যারা এই ধরনের মামলায় অভিযুক্ত সে সব নেতাদের পরিচয়পত্র, সাফল্য এবং ফৌজদারি মামলায় যোগ থাকার বিষয়টিও সংবাদপত্র এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রকাশ করতে হবে।
সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে এক যুগান্তকারী রায় হিসেবেই দেখছেন সাধারণ মানুষ। রাজনৈতিক দলগুলি পরোক্ষে যেভাবে অপরাধীদের আখড়া হয়ে উঠছে, তা থেকে বাঁচতে শীর্ষ আদালতের এই রায় বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। সুপ্রিম কোর্ট আরও জানিয়েছে, এই নির্দেশ যদি না মানা হয় তবে রাজনৈতিক দলগুলিকেই দায়িত্ব নিতে হবে। নির্বাচন কমিশনকেও সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, যদি কোনও দল এই নিয়ম না মানে কমিশন যেন স্বতঃপ্রণোদিতভাবে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করে।