উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়া নৈহাটি কো অপারেটিভ ব্যাংকে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে নেমে এবার ভাটপাড়া পৌরসভায় হানা দিয়ে পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারের ঘর সিল করে দিল তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা । প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাতে ভাটপাড়া নৈহাটি কো অপারেটিভ ব্যাংকে হানা দেয় ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা । মঙ্গলবার রাত থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ওই ব্যাংকে তল্লাশি চালিয়ে তদন্তকারী পুলিশ কর্মীরা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফাইল ও নথি তদন্তের স্বার্থে বাজেয়াপ্ত করে । এই ঘটনায় নাম জড়াল বিজেপির অর্জুন সিংয়ের। এই কথা প্রকাশ্যে আসতেই বেজায় অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির।
বেআইনি ভাবে বেনামে ঋণ নিয়ে টাকা আত্মসাৎ হয়েছে ভাটপাড়া নৈহাটি কো-অপারেটিভ ব্যাংকে, সেই অভিযোগে ব্যাংকে হানা দিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়েছিল ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগের পুলিশ কর্মীরা । মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ও ফাইল উদ্ধার করল পুলিশ আধিকারিকরা ।
রাত দুটো অবধি পুলিশের তল্লাশী চলে ভাটপাড়া -নৈহাটি কো-অপারেটিভ ব্যাংকে। বেনামে বেআইনি ভাবে ব্যাংকের পক্ষ থেকে ঋন দেওয়ার অভিযোগে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগের অফিসাররা এই তল্লাশি চালান। টানা সাড়ে আট ঘন্টা তল্লাশি চালাবার পর বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পুলিশ তদন্তের স্বার্থে বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায়।
এরপর বৃহস্পতিবার দুপুরে ভাটপাড়া পুরসভায় হানা দেয় ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগের ৫ সদস্যের তদন্তকারী দল । তারা সোজা চলে আসেন পুরসভার পুরপ্রধান অরুণ বন্দোপাধ্যয়ের ঘরে । পুরপ্রধান অরুণ বন্দোপাধ্যয়ের সঙ্গে তদন্তকারী পুলিশ কর্মীরা প্রায় তিন ঘন্টা কথা বলেন। ভাটপাড়া পুরসভায় বিগত বিজেপি পরিচালিত পুরবোর্ডের আমলে আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে বলে বর্তমান তৃণমূল পরিচালিত পুর বোর্ডের চেয়ারম্যান ও অন্যান্য তৃণমূল কাউন্সিলররা আগেই অভিযোগ করেছিলেন । এদিকে পুলিশ সূত্রের খবর, ভাটপাড়া নৈহাটি কো অপারেটিভ ব্যাংকে আর্থিক দুর্নীতির লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে ভাটপাড়া থানায় । সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগের পুলিশ কর্মীরা ।
ভাটপাড়া পুরসভায় পুলিশের হানা প্রসঙ্গে বর্তমান পুরপ্রধান অরুণ বন্দোপাধ্যায় বলেন, “পুলিশ নির্দিষ্ট অভিযোগের তদন্ত করতে এসেছে । আমাদের উচিত পুলিশের তদন্তে সহযোগিতা করা । আমরা পুলিশকে সাহায্য করছি । কি দুর্নীতি হয়েছে ? কারা যুক্ত এগুলো পুলিশ তদন্ত করে বের করবে । পুলিশ এই পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একটি ঘর সিল করে দিয়েছে যাতে ওই ঘর থেকে কোন কাগজপত্র খোয়া না যায় ।”