আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি সস্ত্রীক ভারত সফরে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর আগমনের জেরে ইতিমধ্যেই সেজে উঠেছে গুজরাতের আমেদাবাদ ও দিল্লী। ভারত সফরে আসা ট্রাম্পকে খুশি করতে কোনও রকম কসুর করেছে না মোদী সরকার। সর্দার বল্লবভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইন্দিরা ব্রিজ পর্যন্ত যে ৫০০ কাঁচা বাড়ি সম্বলিত বস্তি এলাকা রয়েছে, তার গোটাটাই ইতিমধ্যে ৬-৭ ফুট উঁচু পাঁচিলে ঢেকে দেওয়ার বন্দোবস্ত করছে আমেদাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন৷ এবার ট্রাম্পের নেকনজরে আসতে ভারতের দুগ্ধজাত দ্রব্য ও মুরগির মাংসের বাজারেও আংশিক প্রবেশাধিকার দেওয়া হচ্ছে আমেরিকাকে। সরকারি সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে ভারতের বিশেষ সুবিধা কেড়ে নিয়েছে আমেরিকা। ট্রাম্পের এই সফরে সেই সুবিধা ফিরিয়ে দেওয়ার আর্জি জানানো না হলেও ট্রাম্পের কাছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বেশ কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে ট্যারিফ কমানোর আবেদন জানাবেন বলে জানা যাচ্ছে। এই সবকিছুর মাঝেই উপহার স্বরূপ আমেরিকাকে ভারতের বাজারে বেশ কিছুটা জায়গা করে দিতে তৎপর হয়েছে তাঁর সরকার। জানা যাচ্ছে, ট্রাম্পকে আমেরিকা থেকে চিকেন লেগ ও টার্কি আমদানির প্রস্তাব দিতে চলেছে নয়াদিল্লী। সেখানে ট্যারিফ ১০০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশে আনা হতে পারে। পাশাপাশি হার্লে ডেভিসনের মতো বাইক আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক কমানোর প্রস্তাব ট্রাম্পকে দেওয়া হতে পারে।
উল্লেখ্য, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি দুধ উৎপাদনশীল দেশ হিসাবে ভারতের নাম সর্বাগ্রে। গোটা দেশের প্রায় ৮ কোটি মানুষ এই দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্যের উপর নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করেন। এতদিন সে কথা মাথায় রেখেই দুধ আমদানির উপর নিয়ন্ত্রণ জারি করে রেখেছিল ভারত সরকার। তবে ট্রাম্পের আগমনে কিছুটা হালকা করা হচ্ছে সেই রাশ। জানা যাচ্ছে, আমেরিকার জন্য এবার আংশিক খুলে দেওয়া হবে দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্য আমদানির দরজা। এদিকে এই ঘটনায় ভারতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা কিছুটা হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। বিশেষ করে আমেরিকা থেকে চিকেন ও টার্কির আমদানি হলে ভারতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা সংকটের মুখে পড়বেন বলে অনুমান করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ ভারতের মাটিতে পোল্ট্রি ও দুধ গ্রামীণ অর্থনীতির ক্ষেত্রে একটা বড় অংশ। যদিও তা নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ কেন্দ্র।