বুধবার সাংবাদিকদের সামনে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ জানিয়েছিলেন, ‘অর্থনীতি দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করবে।’ কিন্তু সেদিনই কেন্দ্রীয় রিপোর্টে ভারতীয় অর্থনীতিতে জোড়া ধাক্কার চিত্র ফুটে উঠেছিল। সামনে এসেছিল, পণ্য-পরিষেবার ভয়াবহ মূল্যবৃদ্ধির হাতছানি ও অন্যদিকে শিল্পোৎপাদনে ধীরগতির শঙ্কার কথা। এবার ভারতে আর্থিক মন্দার অন্ধকারে তাড়াতাড়ি আলোর দিশা পাওয়ার সম্ভাবনা আরও কমল। ফের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্যের দাম বেড়ে গেল পাইকারি বাজারে। যা ২০১৪-র মে মাসের পর সর্বাধিক। ফলে, সেগুলি আমজনতার ধরাছোঁয়ার নাগালের বাইরে চলে গেল আরও বেশি।
কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, নতুন বছরের প্রথম মাসেই দেশে অনেকটা বেড়ে গিয়েছে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হার। হয়েছে ৩.১ শতাংশ। তার এক মাস আগে, গত বছরের ডিসেম্বরে যে হার ছিল ২.৫৯ শতাংশ। বিভিন্ন পণ্যের পাইকারি মূল্যের সূচক (হোলসেল প্রাইস ইনডেক্স বা ‘ডব্লিউপিআই’) দিয়েই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই) নিয়মিত মাপে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হার। আর্থিক নীতি প্রণয়নের জন্য। কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের বিবৃতিতে এও জানানো হয়েছে, গত ডিসেম্বরের তুলনায় দেশে পাইকারি খাদ্য মুদ্রাস্ফীতির হার কিছুটা কমেছে এ বছরের জানুয়ারিতে। ডিসেম্বরে এই হার ছিল ১১.০৫ শতাংশ। জানুয়ারিতে হয়েছে ১০.১২ শতাংশ।