কংগ্রেসের তরুণতুর্কি নেতা হার্দিক প্যাটেল নিখোঁজ। তাঁর কোনও হদিশ মিলছে না বলে জানান তাঁর স্ত্রী কিঞ্জল। গত ২৪ জানুয়ারি জেল থেকে ছাড়া পেলেও হার্দিক ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ি ফেরেননি। তাহলে তিনি কোথায়? ২৪ জানুয়ারির পর থেকে কথা হয়নি, মুখোমুখি দেখাও হয়নি। এমনটাই জানিয়েছেন কিঞ্জল। এই ঘটনায় গুজরাত সরকারকেই দায়ী করছেন তাঁর স্ত্রী।
তাঁর স্বামীকে গুজরাত প্রশাসনের তরফে টার্গেট করা হচ্ছে এই অভিযোগ জানিয়ে কিঞ্জল বলেন, ‘গত ২০ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন আমার স্বামী। তিনি কোথায় আছেন? কী করছেন? সেই বিষয়ে আমাদের কাছে কোনও খবর নেই। এই বিষয়টি আমাদের গভীরভাবে ব্যথা দিচ্ছে। আমরা চাই মানুষ আমাদের বিচ্ছেদের জ্বালা বুঝুক। এই বিষয়ে কিছু করুক।’
গুজরাত সরকারের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে তিনি বলেন, ‘২০১৭ সালে এই সরকার আমাদের বলেছিল যে পাতিদারদের উপর থেকে সমস্ত মামলা তুলে নেওয়া হবে। তারপরও কেন তারা শুধুমাত্র হার্দিককেই টার্গেট করছে। কেন অন্য দু’জন পাতিদার নেতা, যাঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না সরকার। আসলে এই সরকার চায় না হার্দিক মানুষের সঙ্গে কথা বলুক এবং তাঁদের বিষয় নিয়ে আন্দোলন করুক।’এই ঘটনায় পাতিদার নেত্রী রেশমা প্যাটেল বলেন, ‘রাজ্য সরকার কথা দিয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে থাকা সমস্ত মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। কিন্তু সরকার কথা রাখেনি। দরকার পড়লে আবার দলমত নির্বিশেষে সংঘবদ্ধ হয়ে লড়াইয়ে নামা হবে।
প্রসঙ্গত, দেশদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় কংগ্রেস নেতা হার্দিক প্যাটেলকে। গুজরাতের আমেদাবাদ জেলার ভিরামগাম থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২০১৫ সালের একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার শুনানিতে গুজরাতের একটি নিম্নবর্তী আদালতে হাজিরা দেননি পতিদার আন্দোলনের এই নেতা। সে জন্য তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল আদালত। এবং সেদিনই কিছু ঘণ্টার মধ্যে হার্দিককে গ্রেফতার করা হয়।