দিল্লীর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির প্রচারের মূল লক্ষ্য ছিল শাহিনবাগের নাগরিকত্ব আইন বিরোধী প্রতিবাদকে আক্রমণ করা। সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর নির্বাচনী জনসভায় দাঁড়িয়ে বলেছেন, ‘দেশ কি গদ্দারো কো’, আর জনতা গলা মিলিয়ে বলেছে, ‘গোলি মারো শালো কো।’ তারপরেও ভোটে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ স্বীকার করেছেন, গুলি মারার কথা বলে ভুল করেছেন তাঁরা। তারপরেও অবশ্য অমিত শাহকে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘গুলি চালাতে বলে এখন ক্ষমা চেয়ে কী হবে। নিজেদেরকে সামলান। ইতিহাস আপনাদের ক্ষমা করবে না।’
এদিন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বিরোধীদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন মমতা। তখনই এই দিল্লীর ভোটের প্রসঙ্গ আসে। বিজেপি বিধায়কদের দিকে তাকিয়ে মমতা তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, ‘একজন নেতা বলছেন, গুলি চালান। যখন তখন গুলি চালানো হচ্ছে। নেতারা এরকম বললে কর্মীরা কী করবে? একবার চালিয়ে দেওয়ার পরে ভুল করেছি বললে কী হবে? এগুলো সামলান। এখন না সামলালে পরে নিজেদেরকে আর সামলাতে পারবেন না। ইতিহাস কখনও আপনাদের ক্ষমা করবে না।’
মমতার এই বক্তব্যের পরে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, ভোটে হেরে যাওয়ার পরে অমিত শাহ যতই বলুন উচিত হয়নি, যখন এই ঘটনা ঘটছে কই তখন তো আটকাননি! নিন্দা করে একটা বিবৃতি পর্যন্ত দেননি।মেরুকরণকে তীব্র করতেই বিজেপি নেতারা মঞ্চে দাঁড়িয়ে ওই সমস্ত গরম গরম ভাষণ দিয়েছিলেন। শাহিনবাগকে পাকিস্তানের সঙ্গে তুলনা করে হিন্দু ভোটকে এককাট্টা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তা বিফলে গিয়েছে। চিরকাল বিজেপির এই মেরুকরণের রাজনীতির বিরোধিতা করেছেন মমতা। এবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে অমিত শাহ ও বিজেপি নেতাদের গুলি মারার মন্তব্যকে টেনে আনলেন তিনি। আরও একবার বিরোধিতা করলেন এই মেরুকরণের।