সিএএ বিরোধী মন্তব্য করায় এবার জাতীয় নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করা হল ডাক্তার কাফিল খানের উপর। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএএ-র বিরুদ্ধে প্ররোচনামূলক বক্তৃতা দেওয়ার অভিযোগে গত ২৯ জানুয়ারি মুম্বই থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল কাফিল খানকে। গত সোমবারই জামিন মঞ্জুর হয়েছে তাঁর। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা আইন চাপায় অনির্দিষ্টকালের জন্য জেলবন্দি থাকতে হবে কাফিল খানকে।
আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ ডিসেম্বর উত্তেজক বক্তৃতা দেওয়ার অভিযোগে ২৯ জানুয়ারি তাঁকে গ্রেফতার করে উত্তর প্রদেশ পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিদ্বেষ বাড়ানোর অভিযোগে সিভিল লাইন থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। মুম্বই থেকে তাঁকে গ্রেফতারের পর আলিগড়ে আনা হয়। পরে তাঁকে মথুরা জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। এবার এনএসএ প্রয়োগ কাফিল খানের বিরুদ্ধে সিএএ নিয়ে উত্তেজক বক্তৃতা দেওয়ার অভিযোগে এবার কাফিল খানের বিরুদ্ধে এনএসএ অর্থাৎ জাতীয় সুরক্ষা আইন প্রয়োগ করা হয়েছে।
তাঁর ভাই আদিল খান বলেছেন, ‘‘আর কিছুদিনের মধ্যেই জেল থেকে বাইরে আসার কথা ছিল দাদার। কিন্তু পরে পুলিশ জানায়, জাতীয় নিরাপত্তা আইন চাপানো হয়েছে তাঁর উপর। এখনই তাঁর ছাড়া পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।’’জাতীয় নিরাপত্তা আইনে (এনএসএ) গ্রেফতার করা হলে ধৃতকে যতদিন খুশি যত দিন খুশি আটক রাখা যায়। অনেক ক্ষেত্রেই ধৃতকে তার কারণ জানানোরও দায় থাকে না পুলিশের। বন্দি থাকাকালীন হাইকোর্টের উপদেষ্টা বোর্ডের কাছে আবেদন জানাতে পারেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু আইনজীবী নিয়োগ করার অধিকার নেই তাঁর। কাফিল খানের পরিবার জানিয়েছে, আলিগড়ের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটে (সিজেএম) আবেদন জানানো হয়েছে।
২০১৭ সালে গ্রেফতার হয়েছিলেন কাফিল খান৷ ২০১৭-র অগাস্টে গোরক্ষপুরের বিআরডি মেডিক্যাল কলেজে একসপ্তাহে ৬০টির বেশি শিশু মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। শিশুদের অক্সিজেন সরবরাহ সঠিক ভাবে না হওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এরপর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। যদিও ২ বছর পর সব অভিযোগ থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন কাফিল খান।