দিল্লী বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল বেরোনোর ২ দিন পর অবশেষে বিজেপির পরাজয় প্রসঙ্গে মুখ খুললেন প্রাক্তন ক্রিকেটার ও বর্তমান বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীর। ২০২০ দিল্লী বিধানসভা নির্বাচনে আপের কাছে কার্যত গোহারা হেরেছে গেরুয়া শিবির। আর এই হারের জন্য দায়ী দিল্লীরই সাত সাংসদ। ঠিক এমনটাই মনে করেন গৌতম। এমনকি আপের কাছে এই হারের জন্য তিনি নিজেকেও দায়ী হিসাবে মনে করেন। এমনটাই এদিন জানিয়েছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার।
এরই পাশাপাশি দিল্লীতে শুধুমাত্র উন্নয়নের উপর ভরসা করেই তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এমনটাই দাবি গম্ভীরের। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমাদের দিল্লীকে যোগ্য বানাতে হবে, অসহায় নয়। এই রায়ের ফলে আজ স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে মানুষ আমাদের প্রচারকে পাত্তা দেয়নি।’ এরই পাশাপাশি কেজরিওয়ালকেও খোঁচা মারতে ছাড়েননি বিজেপি সাংসদ। তিনি বলেছেন, ‘কেজরিওয়ালের সরকার বিনামূল্যে পরিষেবা দেওয়াটাইকেই গুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসাবে মনে করে। যদি একটি মেয়ে বিদ্যালয়ে যায় আর তাঁকে আপনারা বিনামূল্যে সাইকেল দেন সেটা ভালো কাজ কিন্তু এটা কারোর ভোটব্যাঙ্ক হতে পারে না। যদি একটা মেয়ে কলেজে পিএইচডি পড়ে তাঁকে আপনি স্কুটি দিয়ে ভোট চাইছেন সেটা ঠিক নয়।’
এদিকে বিজেপির ভরাডুবির জন্য রাজনৈতিক মহলের ধারণা, মূলত মোদী-শাহের শাহিনবাগ ইস্যুকে হাতিয়ার করা ও সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন প্রয়োজনের কথা না ভাবার কারণেই ভরাডুবি হয়েছে। দিল্লীর বিধানসভা নির্বাচন বিজেপির কাছে প্রেস্টিজ ফাইট ছিল বলেই মনে করে রাজনৈতিক মহল। যার জন্য একা কেজরিওয়ালকে হারাতে প্রধানমন্ত্রীর দুটি সভা, প্রায় ২০০-এর উপর সাংসদ ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে নিয়ে মিছিল করতেও দেখা গিয়েছে। তাই রাজধানী জয়ের ব্যাপারে বেশ আশাবাদী ছিলেন সাংসদ ও দিল্লী বিজেপির সভাপতি মনোজ তিওয়ারি। যদিও ভোট বাক্সে আপের ৬২ টি আসনের কাছে মাত্র ৮ টি আসন নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে।