অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সর্বাধিক উইকেট শিকারি বোলার তিনি। ঝুলিতে ঝলমল করছে ১৭টি উইকেট। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ফাইনালেও মুগ্ধ করেছে তাঁর স্পিন ভেলকি। কিন্তু খেতাবি লড়াই শেষে সেই রবি বিষ্ণোইকেই দাঁড়াতে হয়েছে কাঠগোড়ায়। ম্যাচ শেষে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে কদর্য ঝামেলায় নাম জড়িয়েছে ভারতের প্রতিভাবান এই ক্রিকেটারের। বাংলাদেশের তিন এবং ভারতের দুই ক্রিকেটারকে ‘ডিমেরিট’ পয়েন্ট দিয়েছে আইসিসি। সেই তালিকায় রয়েছেন রবিও। তরুণ লেগ স্পিনারটির এমন আচরণে অত্যন্ত বিস্মিত তাঁর পরিবার। বাবা মাঙ্গিলাল জানিয়েছেন, চার ভাই-বোনের মধ্যে রবিই সবচেয়ে ঠান্ডা মাথার। তবু যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে ছেলে কীভাবে মেজাজ হারাল, সেটাই বুঝে উঠতে পারছেন না তিনি। মাঙ্গিলাল বলছিলেন, ‘আমার ছেলে-মেয়েদের মধ্যে সবচেয়ে ঠান্ডা মাথার হল রবি। আগে কখনও মাঠে ওকে এমন উত্তেজিত হতে দেখিনি। জানি না, অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে কী এমন ঘটল, যার জন্য ও এভাবে মেজাজ হারাল!’
আইসিসি-র নিয়ম অনুযায়ী পাঁচটি সাসপেনশন পয়েন্ট ও সাতটি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হয়েছে বিষ্ণোইয়ের নামের পাশে। একটি সাসপেনশন পয়েন্ট মানে একটি ম্যাচ নির্বাসিত। বিষ্ণোইকে বাইরে বসতে হবে পাঁচটি ম্যাচ। বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহকের (১৭টি) এই ব্যবহার কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি তাঁর পরিবার। বাবা মাঙ্গিলাল জানিয়েছেন, বিষ্ণোইয়ের মা মঙ্গলবার থেকেই খাবার মুখে তুলছেন না।
শুধু হাতাহাতিই নয়, বিষ্ণোইয়ের বিরুদ্ধে আরও এক অভিযোগ উঠেছে। অভিষেক দাসকে আউট করে কিছু অঙ্গভঙ্গি করেছেন যা আইসিসি-র বিধি সম্মত হয়নি। আইসিসি-র ২.৫ ধারা অমান্য করার জন্যও শাস্তি দেওয়া হয়েছে ভারতীয় লেগস্পিনারকে। মাঙ্গিলাল বলছিলেন, ‘‘গত কাল এই খবর পাওয়ার পর থেকে খাবার মুখে তোলেনি আমার স্ত্রী। কোনও ভাবেই ওকে খাওয়ানো যাচ্ছে না।’’
মাঠের মধ্যে হাতাহাতির এই দৃশ্যের সমালোচনা করেছেন প্রাক্তন ক্রিকেটারেরা। বিরক্ত বিষাণ সিংহ বেদী থেকে কপিল দেবরা। ভারতীয় অধিনায়ক প্রিয়ম গর্গ বলেই দিয়েছিলেন, ‘‘আমরা শান্তই ছিলাম। হার-জিত খেলারই অঙ্গ। কিন্তু ওরা প্রচণ্ড নোংরামি করেছে। একজন ক্রিকেটারের থেকে এটা কখনওই কাম্য নয়।’’