গত চারটি লোকসভা নির্বাচনে রাজনীতির অপরাধীকরণ বেড়েছে উদ্বেগজনক হারে। সম্প্রতি এমনই মত প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। অপরাধীকরণ রুখতে রাজনৈতিক দলগুলিকে নির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন বিচারপতিরা। তাঁরা নির্দেশ দিয়েছেন, কাউকে প্রার্থী হিসাবে দাঁড় করালে ওয়েবসাইটে অবশ্যই জানাতে হবে, তাঁর নামে কোনও অপরাধমূলক কাজের অভিযোগ আছে কিনা। দল তাঁকে কেন প্রার্থী করেছে, তার পক্ষেও যুক্তি দেখাতে হবে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে, কাউকে প্রার্থী মনোনীত করার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ওয়েবসাইটে, সোশ্যাল মিডিয়ায় অথবা সংবাদপত্রে জানিয়ে দিতে হবে, তাঁর নামে কোনও ক্রিমিন্যাল কেস আছে কিনা। শুধু তাই নয়, প্রার্থী মনোনয়নের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচন কমিশনের কাছেও তাঁর ক্রিমিন্যাল রেকর্ড সম্পর্কে তথ্য পেশ করতে হবে। কোনও দল যদি তা না করে, তারা আদালত অবমাননার দায়ে পড়বে।
বিচারপতিদের বক্তব্য, যোগ্যতা বিচার করেই কাউকে প্রার্থী করা উচিত। শুধু কারও জেতার সম্ভাবনার কথা ভেবে প্রার্থী করা উচিত নয়।
রাজনীতির অপরাধীকরণ বন্ধ করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন আইনজীবী অশ্বিন কুমার উপাধ্যায় ও আরও কয়েকজন। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে পাঁচ বিচারপতির এক বেঞ্চ কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দেয়, যাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধের অভিযোগ আছে, তারা যাতে ভোটে না দাঁড়াতে পারে সেজন্য আইন করা হোক।
বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে বলেন, অপরাধীদের রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে তারা যথেষ্ট ব্যবস্থা নেয়নি। নির্বাচন কমিশন এর আগে আদালতে বলেছিল, প্রার্থীর অপরাধমূলক কাজের খতিয়ান আগেভাগে জানিয়ে লাভ নেই। রাজনৈতিক দলগুলিকে নির্দেশ দেওয়া উচিত, যাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা আছে, তাদের যেন টিকিট না দেয়।