আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে প্রথম টেস্ট। চোটের কারণে আগেই টেস্ট সিরিজ থেকে ছিটকে গিয়েছেন অভিজ্ঞ রোহিত শর্মা। পাশাপাশি দুরন্ত ফর্মে থাকা লোকেশ রাহুলকেও দলে রাখেননি নির্বাচকরা। তাই আসন্ন সিরিজে মায়াঙ্ক আগারওয়ালের সঙ্গে পৃথ্বী না শুভমন, কাকে খেলাবেন সেই সিদ্ধান্তটা বেশ কঠিন হতে চলেছে ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও কোচ রবি শাস্ত্রীর কাছে। টি-টোয়েন্টিতে ৫-০ সিরিজ জেতার পরে ওয়ান ডে-তে ০-৩ হেরেছে ভারত। এ বার সামনে দু’ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। যেখানে পূর্ণশক্তি নিয়ে নামতে পারে নিউজিল্যান্ড। বুধবারই বিপক্ষ অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন জানিয়ে দিয়েছেন, টেস্টের আগে ফিট হয়ে যেতে পারে ট্রেন্ট বোল্ট। শুরুতে এই বাঁ-হাতি পেসারের সুইং সামলানোর দায়িত্ব কে নেবে?
রোহিত শর্মার চোট। মায়াঙ্ক আগরওয়ালের সঙ্গে ওপেনারের ভূমিকায় তাকে দেখা যাবে না। রোহিতের বিকল্প হোক শুভমন গিল। এই দেশ থেকেই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতে ক্রিকেট বিশ্বের কাছে পরিচিতি পেয়েছিল শুভমন। তার উপরে গত এক মাস ধরে ভারতীয় ‘এ’ দলের সঙ্গে নিউজিল্যান্ডে রয়েছে শুভমন। পরিবেশ ও উইকেট সম্পর্কে ওর ধারণা পরিষ্কার। নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিরুদ্ধে দু’টি বেসরকারি টেস্টে প্রচুর রান করেছে। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ‘এ’ দল যেখানে ২১৩ রানে অলআউট, শুভমন একাই করেছিল ৮৩ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি (অপরাজিত ২০৪)। দ্বিতীয় টেস্টেও ১৩৬ রানের দুরন্ত ইনিংস উপহার দিয়েছে। এটাই প্রমাণ করে দেয়, ও কতটা ছন্দে।
পৃথ্বীর আগে প্রথম একাদশে জায়গা দেওয়া উচিত শুভমনকেই। ওয়ান ডে সিরিজে হারের পিছনে অন্যতম কারণ কিন্তু ওপেনিং জুটিতে বড় রান না হওয়া। সেটা টেস্টে হলে ঝামেলা হবে। ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রস্তুতি ম্যাচে মায়াঙ্কের সঙ্গে ওপেন করিয়ে ওকে দেখে নিক অধিনায়ক বিরাট কোহলি। শুরুতে শুভমন নতুন বল সামলে দিলে মাঝের সারির ব্যাটসম্যানেরা কিছুটা স্বস্তিতে থাকবে।
তিন পেসার, এক স্পিনারে খেলা উচিত ভারতের। আর অশ্বিনকেই প্রথম একাদশে দেখতে চাইছে সকলে। কারণ, ওদের দলে বাঁ-হাতি বেশি। জিৎ রাভাল, হেনরি নিকোলস, টম লাথামরা নিশ্চয়ই খেলবে। ওদের বিরুদ্ধে জাডেজার চেয়েও অশ্বিন বেশি সমস্যা তৈরি করতে পারে। অশ্বিনের বল পড়ে বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যানের বাইরের দিকে যায়। কোনওটা ভিতরে আসে। এটাই সমস্যা তৈরি করবে বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যানের জন্য। হয়তো ব্যাটসম্যান হিসেবে জাডেজা অন্যতম ভরসা। কিন্তু অশ্বিনেরও টেস্ট সেঞ্চুরি রয়েছে। ওর ব্যাটিং প্রতিভাকে একেবারেই ছোট করা যায় না।
ভারতীয় দলকে আরও একটি বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। বোল্ট ও টিম সাউদিকে সামলানোর পরেই তৈরি থাকতে হবে নিল ওয়াগনারের আগ্রাসী বোলিংয়ের জন্য। ওয়াগনার খাটো লেংথের বল করে ব্যাটসম্যানকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। বর্তমান ক্রিকেটে শরীর ও মাথা লক্ষ্য করে বল করতে ওর মতো আমি একজনকেও দেখিনি। দ্রুততম ২০০ উইকেট শিকারি নিউজ়িল্যান্ড বোলারদের তালিকায় ও দ্বিতীয় স্থানে। ৪৬টি টেস্ট খেলে এই স্বীকৃতির মালিক ওয়াগনার। ৪৪টি টেস্টে ২০০ উইকেট নিয়ে শীর্ষে রিচার্ড হ্যাডলি। আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে বোলারদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ওয়াগনার। ওর প্রত্যেক ওভারে তিনটি বাউন্সারের জন্য তৈরি থাকতে হবে ভারতীয় দলকে।