আগামী মাসেই জম্মু ও কাশ্মীরে হতে চলেছে পঞ্চায়েত উপনির্বাচন। ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির পর এই প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে সেখানে। বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা হারানোর পর জম্মু-কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এই প্রথম কোনও বড় রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্মযজ্ঞ হতে চলেছে। জানা গিয়েছে, মোট আট দফায় নির্বাচন হবে ভূ-স্বর্গে। জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক শালিন্দর কুমার বলেন, কীভাবে ভোট কার্যকরী হবে তা জানাতে ইতিমধ্যেই মডেল প্রস্তুত করা হয়েছে। ১৩,০০০ পঞ্চায়েত আসনে চলবে কুর্সি জেতার লড়াই।
অতীতে, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (পিডিপি) ও জাতীয় সম্মেলন (এনসি) অংশগ্রহণ করেনি। বিশেষ মর্যাদা অবলুপ্তির পরেই বয়কট করা হয়েছিল নির্বাচন। সেই জন্য ১২,০০০-এরও বেশি পঞ্চায়েত আসন শূণ্য পড়ে রয়েছে সেখানে। আগামী মার্চে যে আসনগুলিতে উপনির্বাচন হবে তার বেশিরভাগই রয়েছে কাশ্মীর উপত্যকায়। ৩৭০ ধারা বিলোপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে ফারুক আবদুল্লাহ, ওমর আবদুল্লাহ এবং মেহবুবা মুফতি-এই তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সহ অনেক নেতাই ঘরবন্দী ছিলেন দীর্ঘদিন। সম্প্রতি তাঁদের বিচ্ছিন্নতাবাদী আখ্যা দিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত সপ্তাহেই, মুফতি ও ওমর আবদুল্লাহকে জন নিরাপত্তা আইনে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। আইন অনুযায়ী, বিনা বিচারে তিন মাস পর্যন্ত কোনও ব্যক্তিকে আটক করা যায়। প্রয়োজনে সেই মেয়াদ বাড়াতেও পারে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রসঙ্গত, কোনও বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই তাঁদের আটক করা হয়েছিল। যা নিয়ে এখনও উত্তাল কাশ্মীর তথা দেশের রাজনীতি।
জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির পরেই আবদুল্লাহ, মেহবুবা সহ প্রায় ১০০ জন রাজনৈতিক নেতাকে আটক করা হয়েছিল। বিচ্ছিন্নতাবাদী আখ্যা দিয়ে আগস্টে তাঁদের আটক করার পর কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি ছিল, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সুষ্ঠু আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ফারুক আবদুল্লাহকে সেপ্টেম্বর মাসেই জন নিরাপত্তা আইনে অভিযুক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। এই অবস্থাতেই হবে উপ নির্বাচন। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এবারেও ব্যাপক হারে নির্বাচন বয়কটের ডাক দেওয়া হবে।