শুধু নামেই নয়, তিনি যে স্বভাবেও সত্যিই মমতাময়ী, তা আরও একবার প্রমাণ করলেন তিনি। এদিন ফের কল্পতরু রূপ ধরা পড়ল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ ‘অচেনা-অজানা’ সদ্য স্বামীহারা মহিলার কষ্ট দেখে সরকারি চাকরির বন্দোবস্ত করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ আজ বাঁকুড়ার প্রশাসনিক সভা মঞ্চ থেকে স্বামীহারা মহিলাকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, ‘আমরা কোনো নাম-ধর্ম-জাতি দেখি না। যে যেটা ডিজার্ভ করে, তাঁকে সেটাই দিই আমরা।’
আজ প্রশাসনিক বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তা ও নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আজ সকালে আমার কাছে কাঁদতে কাঁদতে এসেছিল এক মহিলা৷ বেনিয়াটোলায় থাকে৷ তাঁর চিঠিতে আমি দেখলাম, সে লিখেছে, তাঁর স্বামী সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কলেজে যোগ দিয়েছিল৷ চাকরি পাওয়ার ১৫ দিন পর তাঁর মৃত্যু হয়৷ তাঁর একটা ১৫ দিনের বাচ্চা আছে৷ আর একটা পাঁচ বছরের সন্তান৷ হাউমাউ করে কাঁদছিল৷’
তারপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি দেখেই বুঝে গিয়েছি, এটা মানবিক৷ এইটুকু সবাইকে বুঝতে হবে৷ আমি করে দিয়েছি, তাই বলছি, সেটা নয়৷ এটা করতে পেরে আমি আনন্দিত৷ আমার হৃদয়কে আমি কিছু কাজ করেছি বলতে পেরে ভালো লাগবে৷ আমি ডিএমকে বলেছি, ওঁর মাকে বিধবা ভাতা চালু করে দিতে৷ আর মনে রাখবেন, আমাদের প্রত্যেকটা মন্ত্রীর তিনটে করে চাকরিতে কোটা থাকে৷ তিনটে গ্রুপ ডি’র চাকরি তাঁরা পান৷ ওই কোটা থেকে চাকরি হবে৷ আমি নির্দেশ দিয়ে দিয়েছি৷’
এরপর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি চিনি না জানি না, সে একটা বিপদে পড়েছে৷ এরকম অনেক পরিবার আমরা দেখি৷ আমার মনে হয়েছে যে যেটুকু ডিজার্ভ করে, যেখানে যতটা পারি, ততটা করতে হবে৷ আমি করলে আপনার চেষ্টা করবেন না কেন? আপনিও একটু করে দেখুন৷ এভাবে সবাই মিলে করে দেখুন, তৃপ্তি পাবেন৷’